(বাঁ দিকে) দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন মল্লিকার্জুন খড়্গে, ভিতরে মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী (ডান দিকে)। —ফাইল ছবি।
কেরলের ওয়েনাড় লোকসভা উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর বুধবারের মনোনয়ন পর্বে অপমানিত হয়েছেন দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে স্বয়ং। বৃহস্পতিবার এই অভিযোগ করলেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালবীয়। অভিযোগের সমর্থনে একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন তিনি (যার সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি)।
ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি ভেজানো দরজার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন খড়্গে। মালবীয়ের দাবি, ওয়েনাড়ের জেলাশাসক ডিআর মেঘাশ্রীর দফতরে ঢুকে প্রিয়ঙ্কা যখন মা সনিয়া গান্ধী, দাদা রাহুলের পাশে বসে মনোনয়ন জমা দিচ্ছিলেন, সে সময় ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন খড়্গে। ভিডিয়ো সে সময়ই তোলা বলে জানিয়েছেন তিনি। মালবীয়ের অভিযোগ, নির্বাচনী আচরণবিধির কারণে সঙ্গী সকলকে নিয়ে জেলাশাসকের ঘরে ঢুকতে পারেননি প্রিয়ঙ্কা। তাই খড়্গেকে বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়েছিল।
এক ধাপ এগিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মার অভিযোগ, কংগ্রেসে যে দলিতদের কোনও সম্মান নেই, খড়্গের সঙ্গে এমন আচরণই তার প্রমাণ। সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘‘কংগ্রেসে একটি পরিবারই সব কিছু। তাদের জন্য দলের সর্বভারতীয় বা প্রদেশ সভাপতিকেও অসম্মানিত হতে হয়।’’ যদিও কেরল প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে বৃহস্পতিবার বিজেপির অভিযোগকে ‘অসত্য এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার মা সনিয়া, দাদা রাহুল, স্বামী রবার্ট এবং কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের সঙ্গে ওয়েনাড়ে গিয়ে একটি ‘রোড শো’ করার পরে মনোনয়ন জমা দেন প্রিয়ঙ্কা। রাহুলের ছেড়ে দেওয়া ওয়েনাড় কেন্দ্রে আগামী ১৩ নভেম্বর উপনির্বাচন হবে। গণনা আগামী ২৩ নভেম্বর। মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচন এবং ১৫ রাজ্যের মোট দু’টি লোকসভা ও ৪৮টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনের গণনাও হবে ওই দিন। এ বার ওয়েনাড়ে প্রিয়ঙ্কার মূল লড়াই প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিআইয়ের রাজ্য সহ-সম্পাদক সত্যন মোকেরি এবং বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সাধারণ সম্পাদক নব্যা হরিদাসের বিরুদ্ধে।