national news

‘কং জমানায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণের টাকা পেয়েছিল রাজীব গাঁধী ফাউন্ডেশন’, চাঞ্চল্যকর দাবি নড্ডার

রাজীব গাঁধী ফাউন্ডেশনের পরিচালন বোর্ডে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী ছাড়াও রয়েছেন গাঁধী পরিবারের কয়েক জন সদস্য।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২০ ১২:৩৭
Share:

বিজেপি সভাপতি চজে পি নাড্ডা। -ফাইল ছবি।

ইউপিএ জমানায় রাজীব গাঁধী ফাউন্ডেশন তার কাজকর্মের জন্য নিয়মবহির্ভূত ভাবে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল (পিএমএনআরএফ) থেকে টাকা পেয়েছিল। সংশ্লিষ্ট নথিপত্র দিয়ে শুক্রবার এই অভিযোগ করলেন বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা। বৃহস্পতিবারই বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়, ইউপিএ জমানায় দিল্লির চিনা দূতাবাস থেকে টাকা পেয়েছিল রাজীব গাঁধী ফাউন্ডেশন, চিনের সঙ্গে ভারতের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য সওয়াল করার জন্য।

Advertisement

প্রকৃতি ও মানুষের জন্য তৈরি হওয়া দুর্যোগের মোকাবিলায় দেশের নাগরিকরা ও বিভিন্ন সংগঠন অর্থ জমা দেন প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে। রাজীব গাঁধী ফাউন্ডেশনের পরিচালন বোর্ডে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী ছাড়াও রয়েছেন গাঁধী পরিবারের কয়েক জন সদস্য। ফাউন্ডেশনের ২০০৫-২০০৬ এবং ২০০৭-২০০৮, এই দুই অর্থবর্ষের বার্ষিক রিপোর্টে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের অর্থ আসার প্রমাণ রয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপি সভাপতির।

ফাউন্ডেশনের দু’টি অর্থবর্ষের রিপোর্ট জুড়ে দিয়ে নাড্ডা এ দিন তাঁর টুইটে লিখেছেন, ‘‘নানা ধরনের দুর্যোগের মোকাবিলায় দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর জন্যই প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল। অথচ ইউপিএ জমানায় সেই তহবিল থেকেই অর্থ দেওয়া হয়েছিল রাজীব গাঁধী ফাউন্ডেশনকে। কে ছিলেন তখন ফাউন্ডেশনের বোর্ডে? সনিয়া গাঁধী। সেই বোর্ডের চেয়ারপার্সন কে ছিলেন? সনিয়া গাঁধী। অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। যাবতীয় নীতিকে জলাঞ্জলি দেওয়া হয়েছে। সরকারি কাজকর্মে স্বচ্ছতার প্রয়োজনীয়তাকে অস্বীকার করা হয়েছে।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: ডিবিও সড়ক লক্ষ্য চিনের, প্রহরায় সেনা

আরও পড়ুন: লাদাখ ঘুরে এসে রিপোর্ট দিচ্ছেন নরবণে, তার পর স্থির পরবর্তী পদক্ষেপ

টুইটে বিজেপি সভাপতি এও লিখেছেন, ‘‘সহ নাগরিকদের সাহায্যে নাগরিকরা তাঁদের কষ্টার্জিত অর্থ জমা দেন প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে। কোনও পরিবারের পরিচালিত কোনও সংস্থায় সেই অর্থ দেওয়াটা শুধুই গর্হিত কাজ নয়, তা দেশের মানুষের সঙ্গে প্রবঞ্চনাও। সম্পদের জন্য কোনও একটি পরিবারের ক্ষুধা গোটা দেশের প্রচুর ক্ষতি করেছে। নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে এই ভাবে জনগণের টাকা লুট করার জন্য কংগ্রেসের বংশানুক্রমিক ধারার ক্ষমা চাওয়া উচিত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement