বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী ও এনডিএ-র শরিক দল শাসিত রাজ্যগুলির উপমুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রার্থনায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। বুধবার অযোধ্যায় সরযূ নদীর তীরে। পিটিআই
কাশীর পরে এ বার অযোধ্যা। রাজ্যে হিন্দু ভোটের মেরুকরণে যাতে খামতি না থাকে, তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে আজ অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ ও রামলালা দর্শনে গেলেন বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। লক্ষ্য সংখ্যাগুরু ভোটের মেরুকরণ।
বছর ঘুরলেই ভোট উত্তরপ্রদেশে। কিন্তু যোগী আদিত্যনাথের পাঁচ বছরের শাসনের শেষে দেখা যাচ্ছে, ক্ষমতা দখলের পথে ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছেন বিরোধী নেতা অখিলেশ যাদব। অখিলেশ যে ভোট ব্যাঙ্কের ভরসায় রয়েছেন, তার একটি যাদব ভোট, অন্যটি মুসলিম ভোট। তার সঙ্গে বিক্ষুব্ধ কৃষকদের ভোট যোগ হলে দ্বিতীয় বার উত্তরপ্রদেশে জিতে আসা কঠিন হবে যোগী আদিত্যনাথের। তাই মুসলিম ভোটের বিরুদ্ধে রাজ্যের সমস্ত হিন্দু ভোট বিজেপির ছাতায় আনতে হিন্দুত্বের ধ্বজা সামনে রেখে এগোনোর কৌশল নিয়েছে দল।
ইতিমধ্যেই টানা দু’দিন বারাণসীতে থেকে গঙ্গায় ডুব দিয়ে মন্দির-মন্দিরে প্রার্থনা করে, ঔরঙ্গজেব ও শিবাজি প্রসঙ্গ টেনে হিন্দুত্বের জিগির তুলতে সচেষ্ট থেকেছেন প্রধানমন্ত্রী। হিন্দুত্বের সেই হাওয়াকে আরও গতি দিতে আগামী এক মাস ধরে কাশীকে কেন্দ্র করে একাধিক কর্মসূচি পালন করার পরিকল্পনা নিয়েছে দল। বাড়তি সংযোজন হল, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অযোধ্যায় রামলালা দর্শন ও মন্দিরের কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখা। যার জন্য আজ কাশী থেকে অযোধ্যায় উড়ে যান বিজেপিশাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা এবং এনডিএ-র শরিক দল শাসিত তিনটি রাজ্যের বিজেপি উপমুখ্যমন্ত্রীরা। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি
জে পি নড্ডাও।
রামলালা দর্শন ও সেখান পুজো দেওয়ার পরে হনুমানগড়হি যান সকলে। সেখানে বজরংবলীর পুজো দেন। রামমন্দির নির্মাণকে নিজেদের বড় সাফল্য হিসাবে তুলে ধরছে বিজেপি। এক সময় অখিলেশের পিতা মুলায়ম সিংহের সরকার কী ভাবে করসেবকদের উপর গুলি চালিয়েছিল, সেই ইতিহাস উস্কে দিয়ে হিন্দু ভোট মেরুকরণ করার পরিকল্পনা রয়েছে দলের। তারই সলতে পাকানো আজ থেকে শুরু হয়ে গেল বলে মনে করছে রাজনীতির মহল।