জেপি নড্ডা (বাঁ দিকে) এবং চিরাগ পাসওয়ান। —ফাইল চিত্র।
আরও এক বারের জন্য বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ-তে ফিরতে পারেন রামবিলাস পাসওয়ানের পুত্র চিরাগ পাসওয়ান। কিছু দিন ধরেই বিজেপির হাত ধরার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন চিরাগ। বিজেপির তরফেও তাঁর সঙ্গে দূরত্ব কমিয়ে আনার ইঙ্গিত মিলল। আগামী ১৮ জুলাই এনডিএ-র বৈঠক। ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য চিরাগকে চিঠি দিলেন বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা।
গত ৭ জুলাইয়ের পর ১৪ জুলাইও চিরাগের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। দ্বিতীয় বৈঠকেই চিরাগের এনডিএ বৈঠকে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ। গত ৭ জুলাই এলজেপি, (চিরাগ) দলের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নিয়ে একটি বৈঠক করে। বৈঠক প্রসঙ্গে চিরাগ বলেন, “২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন এবং ২০২৫ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এলজেপি দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। দলের নেতারা আমাকে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের অনুমতি দিয়েছেন।” রামবিলাস-পুত্র আরও বলেন, “মন্ত্রী হওয়াটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। জোট নিয়ে আলোচনা এখনও চলছে।” তবে এলজেপি-বিজেপি দুই শিবির সূত্রেই খবর পাওয়া যায়, প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়ে গিয়েছে যে, এনডিএ-র নয়া শরিক হতে চলেছেন চিরাগ। এর আগে চিরাগের সঙ্গে বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রামবিলাসের প্রশংসা করে বিহারের প্রয়াত দলিত নেতার সঙ্গে বিজেপির পুরনো সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাসের মৃত্যুর পর এলজেপি-র উত্তরাধিকার নিয়ে চিরাগ এবং তাঁর কাকা পশুপতিকুমার পারসের মধ্যে মতবিরোধ দেখা যায়। এলজেপি-র আর একটি গোষ্ঠীর নেতৃত্বে এখনও পশুপতিই রয়েছেন। রামবিলাস যে হাজিপুর আসন থেকে দাঁড়াতেন, সেই আসনে এ বার দাঁড়াতে চাইছেন চিরাগ। তবে ‘দাদা’র যোগ্য উত্তরসূরী হিসাবে ওই আসন ভাইপোকে ছাড়তে নারাজ হাজিপুরের বর্তমান সাংসদ পশুপতি। ২০২০ সালে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে নীতীশ কুমারের বিরোধিতা করে এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন চিরাগ। উল্লেখ্য, সে সময় নীতীশ বিহারে বিজেপির সঙ্গে জোটে ছিলেন। পরে চিরাগের নেতৃত্বাধীন এলজেপি থেকে দলের পাঁচ সাংসদকে নিয়ে বেরিয়ে আসেন পশুপতি। পশুপতি দীর্ঘ দিন ধরেই বিজেপির ‘আশ্রয়ে’ রয়েছেন বলে মনে করেন রাজনীতির কারবারিদের একাংশ। এ বার ভাইপো চিরাগও বিজেপিমুখী হলে বিহারে দলের জোর বাড়বে বলে মনে করছেন দেশের শাসকদলের নেতারা। বিজেপির আরও একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, জনসমর্থনের নিরিখে কাকা পশুপতিকে ছাপিয়ে গিয়েছেন চিরাগ। তাই সম্প্রতি চিরাগের গুরুত্ব বেড়েছে পদ্ম শিবিরের কাছে।