BJP

বিজেপির সমর্থনে কর্নাটকে পঞ্চায়েত দখল নিষিদ্ধ পিএফআইয়ের রাজনৈতিক শাখার, বলছে রিপোর্ট

কর্নাটকের একটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন এসডিপিআই সমর্থিত প্রার্থী। ভোটাভুটিতে তাঁকে সমর্থন জানান দুই বিজেপি সমর্থিত প্রার্থী। এতে বিড়ম্বনায় পড়েছে গেরুয়া শিবির।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

ম্যাঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২৩ ২১:০০
Share:

— প্রতীকী ছবি।

অধুনা নিষিদ্ধ পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই)-এর রাজনৈতিক শাখা এসডিপিআইয়ের টি ইসমাইল কর্নাটকের দক্ষিণ কন্নডা জেলার তালাপাঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন। তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হল, টানা দ্বিতীয় বার এই পদে টিকে থাকতে ইসমাইলকে সমর্থন দিয়েছেন বিজেপি সমর্থিত দুই সদস্য!

Advertisement

সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের অভিযোগে পিএফআইকে নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সে কথা সংসদে দাঁড়িয়েও দৃঢ়তার সঙ্গে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এ হেন সংগঠনেরই রাজনৈতিক শাখা হিসাবে পরিচিত এসডিপিআই। তাদের সঙ্গে বিজেপির নাম জড়িয়ে যাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির দাবি, এই ভোটে কোনও দলীয় প্রতীকে লড়াই হয় না। যদিও অন্য পক্ষের পাল্টা দাবি, রাজনৈতিক দল সরাসরি লড়াই করে না, কিন্তু প্রতিটি প্রার্থী কোনও না কোনও রাজনৈতিক দলের সমর্থন নিয়েই ভোটে লড়তে নামেন।

তালাপাঠি পঞ্চায়েতে মোট ২৪ জন সদস্য। ‘দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া’-য় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভোটের পর দেখা যায়, বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা জিতেছেন ১৩টি আসন, এসডিপিআই জিতেছে ১০টি আসন। কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থী জিতেছেন একটি আসন। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচন করার জন্য ভোটাভুটির দিন দেখা যায়, কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থী এবং একজন এসডিপিআই সদস্য অনুপস্থিত। ফলে স্বাভাবিক নিয়মেই বিজেপির পাল্লা ভারী। বিজেপির সত্যরাজ যে প্রধান হচ্ছেন, তা যখন এক প্রকার নিশ্চিত তখনই এল মোক্ষম মোচড়। ভোটাভুটিতে দেখা যায়, দু’জন বিজেপি সদস্য ভোট দিয়েছেন এসডিপিআইয়ের ইসমাইলকে। এর ফলে দুই বিজেপি সদস্যের সমর্থনের জোরে তাঁর ভোট সংখ্যা এবং বিজেপির সত্যরাজের ভোট টাই হয়ে যায়। পরে টসে জয়লাভ করেন ইসমাইল। অন্যদিকে, বিজেপি সমর্থিত সদস্য পুষ্পাবতী শেট্টি সর্বসম্মতিক্রমে তালাপাঠি পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান হয়েছেন।

Advertisement

এ দিকে এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তিতে পড়ে বিজেপি। তাদের মুখপাত্রেরা সমাজমাধ্যমে এই খবরের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে থাকেন। কর্নাটকে পঞ্চায়েত ভোটে কোনও রাজনৈতিক দলই সরাসরি লড়াই করে না। কিন্তু যে প্রার্থীরা ভোটে লড়াই করেন, তাঁরা কোনও না কোনও রাজনৈতিক দলের সমর্থনপুষ্ট। কিন্তু তাঁদের হাতে দলীয় প্রতীক থাকে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement