ফাইল চিত্র।
এত দিন শোনা যেত, খাদির পোশাক কংগ্রেসিদেরই বেশি পছন্দের। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, বিজেপি নেতারাও খাদির পোশাক পরতে শুরু করেছেন। বিগত কয়েক বছর ধরেই সেই প্রবণতা দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু এ বছর খাদির পোশাক কেনা নিয়ে একটি দলীয় কর্মসূচিই নিয়েছে গেরুয়া শিবির। কর্মসূচি অনুযায়ী, রাজ্য থেকে জেলাস্তরের সব নেতাকেই কোনও না কোনও খাদির পোশাক কিনতে হবে গাঁধী জয়ন্তীতে।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি-র অধুনা সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ, নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারেরা এই কর্মসূচির কথা নিশ্চিত করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, শনিবার বিভিন্ন খাদির দোকানে গিয়ে খাদির বস্ত্র কেনার কর্মসূচি রয়েছে তাঁদের।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিন থেকে ‘সেবা ও সমর্পণ পক্ষ’ পালন করছে বিজেপি। যা শেষ হবে আগামী ৭ অক্টোবর। ২ অক্টোবর গোটা দেশে গাঁধী জয়ন্তী পালনের কর্মসূচি আগে থেকেই ছিল বিজেপি নেতাদের। এ বার তার সঙ্গে এ রাজ্যে খাদির বস্ত্র কেনার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
কারণও রয়েছে এর পিছনে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর ‘মন কি বাতে’ মোদী বলেছিলেন, গাঁধী জন্মবার্ষিকীতে দেশে খাদির বিক্রি রেকর্ড জায়গায় নিয়ে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তা স্মরণে রেখেই বাংলায় রাজ্য বিজেপি এই কর্মসূচি নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে শুধু এ রাজ্যেই নয়, দেশের অন্যান্য রাজ্যেও গাঁধী জয়ন্তীতে খাদিবস্ত্র কেনার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
অতীতেও খাদি নিয়ে একাধিক বার উদ্যোগী হয়েছে গেরুয়া শিবির। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে সস্ত্রীক ভারত সফরে এসেছিলেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সে বার তাঁকে নিয়েও সাবরমতী আশ্রমে গিয়েছিলেন মোদী। মালা দিয়েছিলেন গাঁধীর প্রতিকৃতিতে। চরকা কাটারও চেষ্টা করেছিলেন। ওই বছরই জানুয়ারি মাসে খাদি ইন্ডিয়ার ক্যালেন্ডার ও ডায়েরিতে গাঁধীজির ছবির পরিবর্তে একই ভঙ্গিতে মোদীর চরকা কাটার ছবি নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছিল। তার পর এ বছর গাঁধী জয়ন্তীতে এক দিনে খাদির বস্ত্র কেনার সব রেকর্ডই ভেঙে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে বিজেপি।