(বাঁ দিকে) দেবেন্দ্র ফডণবীস এবং একনাথ শিন্ডে (ডান দিকে) —ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী কে হতে চলেছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে একতরফা ভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিল বিজেপি। শনিবার মহারাষ্ট্রের বিজেপি সভাপতি চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে জানান, আগামী ৫ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৫টায় মুম্বইয়ের আজ়াদ ময়দানে নতুন মুখ্যমন্ত্রী শপথগ্রহণ করবেন। সমাজমাধ্যমে বাওয়ানকুলে আরও জানিয়েছেন, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
গত শনিবার মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ হয়েছিল। তার পর সাত দিন কেটে গেলেও এখনও মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডেই মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকবেন, না কি বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফডণবীস ফের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি ফিরে পাবেন, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পরে শাসকজোট ‘মহাজুটি’র শরিক দলগুলি ‘ইতিবাচক’ মনোভাব দেখালেও শুক্রবার হঠাৎই সাতারায় গ্রামের বাড়িতে চলে যাম শিন্ডে। শিন্ডের দলের মুখপাত্র সঞ্জয় শিরসত রাতে বললেন, ‘‘অপেক্ষা করুন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বড় ঘটনা ঘটতে চলেছে।’’
বাইরে ‘ইতিবাচক’ বার্তা দেওয়া হলেও অনেকেই মনে করছেন জোটের অন্দরে সব কিছু ঠিকঠাক নেই। বিধানসভা ভোটে বিপুল জয়ের পরেও মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিন্ডেসেনা-এনসিপি (অজিত)-এর ‘মহাজুটি’র অন্দরে ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে চলছে তুমুল টানাপড়েনের ইঙ্গিত মিলছেই বলে মনে করা হচ্ছে। এনসিপি (অজিত) অবশ্য ফলপ্রকাশের পরের দিন থেকেই জানিয়েছে, ফডণবীস মুখ্যমন্ত্রী হলে তাদের কোনও আপত্তি নেই। এই পরিস্থিতিতে শিন্ডেসেনার উপর চাপ বৃদ্ধি করতেই বিজেপি একতরফা ভাবে শপথের নাম ঘোষণা করে দিল কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
বিজেপির ঘোষণার পরে অনেকেই নিশ্চিত যে, বিজেপিরই কেউ মহারাষ্ট্রের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন। তবে হাতে ‘যথেষ্ট’ সময়ও রাখছে বিজেপি। মনে করা হচ্ছে শরিক দলগুলির বিবিধ দাবিদাওয়া নিয়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হতেই বৃহস্পতিবার শপথের দিন চূড়ান্ত করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে মাঝের সময়টায় জরুরি আলাপ-আলোচনা সেরে রাখতে পারবে পদ্মশিবির।