স্থানীয় কংগ্রেস নেতা ওই প্রতিযোগিতা স্থলে গঙ্গাজল ছিটিয়ে ‘হনুমান চল্লিশা’ পড়ে ওই মঞ্চটিকে ‘শুদ্ধ’ করেছেন। ছবি : টুইটার।
মহিলাদের দেহসৌষ্ঠব প্রতিযোগিতা ঘিরে তুমুল তরজা শুরু হল কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে। বিতর্কের মূলে প্রতিযোগিনীদের স্বল্পবাস। বিকিনি পরে মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন তাঁরা। বিষয়টিকে মহিলাদের দেহ প্রদর্শন বলে মন্তব্য করে আপত্তি তুলেছে কংগ্রেস। পাল্টা বিজেপির বক্তব্য, ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মঞ্চেও মেয়েদের পোশাকে নজর দিয়ে আসলে কংগ্রেস বুঝিয়ে দিল, তারা মহিলাদের কী চোখে দেখে! এই নিয়েই দুই রাজনৈতিক দলের ঝগড়া বেধেছে মধ্যপ্রদেশে। বিষয়টি গড়িয়েছে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের দরবারে।
ঘটনার সূত্রপাত গত ৪ এবং ৫ মার্চ। মধ্যপ্রদেশের রতলাম শহরে ১৩তম জুনিয়র দেহসৌষ্ঠব প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল স্থানীয় বিজেপি প্রশাসন। প্রতিযোগিতার মঞ্চে রাখা ছিল সৌষ্ঠব চর্চাকারীদের আরাধ্য হনুমানের মূর্তি। তার সামনেই বিকিনি পরিহিতা প্রতিযোগিনীরা দেহসৌষ্ঠব প্রদর্শন করছিলেন। সেই অনুষ্ঠানের একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই প্রতিবাদে সরব হয় কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, দেবতার মূর্তির সামনে মেয়েদের ওই পোশাকে দেহ প্রদর্শন হিন্দু ধর্মীয়দের আবেগে আঘাত করেছে। এতে দেবতার প্রতিও অশ্রদ্ধা প্রদর্শিত হয়েছে।
গত ৫ মার্চ প্রতিযোগিতাটি শেষ হওয়ার পর রতলামের স্থানীয় কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন মেয়র পারস সকলেচা প্রতিযোগিতাস্থলে গিয়ে গঙ্গাজল ছিটিয়ে ‘হনুমান চল্লিশা’ পড়ে ওই মঞ্চটিকে ‘শুদ্ধ’ করেছেন। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রতলামের মেয়র বিজেপির প্রহ্লাদ পটেল। অনুষ্ঠানের অন্যতম আয়োজক ছিলেন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক চৈতন্য কশ্যপ। দু’জনের বিরুদ্ধেই অশালীনতা এবং কুরুচিকর পরিবেশ তৈরির অভিযোগ করেছে কংগ্রেস।
এ ব্যাপারে রাজ্যের কংগ্রেস প্রধান কমল নাথের সংবাদমাধ্যম উপদেষ্টা পীযূষ বাবেলে চিঠি দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানকে। কংগ্রেসের এই অভিযোগের জবাবে অবশ্য বিজেপি বলেছে, দেহসৌষ্ঠব প্রতিযোগিতায় নারী-পুরুষ নির্বিশেষে স্বল্পবাসে থাকাই নিয়ম। সেটা সম্ভবত কংগ্রেস জানে না। তা ছাড়া সৌষ্ঠব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী মহিলা ক্রীড়াবিদদের পোশাক নিয়ে কটাক্ষ করে কংগ্রেস বুঝিয়ে দেয়েছে ক্রীড়ার ক্ষেত্রে মেয়েদের উন্নতি চায় না তারা। বরং সেখানেও তাদের কদর্য চোখে দেখাই তাদের স্বভাব।