আসন্ন মহারাষ্ট্র নির্বাচনে মহাবিকাশ আগাড়ির অন্যতম শরিক কংগ্রেস। আবার, লোকসভা ভোটে আশানুরূপ ফলাফল না-হওয়ার কারণ অনুসন্ধান করে ক্ষত মেরামতিতে ব্যস্ত বিজেপি নেতৃত্বাধীন শাসক জোট মহাযুতিও।
আজ দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দফতরে মহারাষ্ট্রের প্রার্থী বাছাইয়ের বৈঠক বসে। পরে এআইসিসি-র মহারাষ্ট্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা রমেশ চেন্নিথালার অভিযোগ, শাসক জোট ‘মিথ্যা প্রতিশ্রুতি’ দিয়ে মহারাষ্ট্রবাসীকে বিভ্রান্ত করছে। তিনি বলেন, ‘‘বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আজ আলোচনা হয়েছে। দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটিও বৈঠকে বসবে।’’ একনাথ শিন্দে সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে তাঁর দাবি, ‘‘মহাযুতি জোট মানুষের কাছে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকেও কোনও ইচিবাচক সিদ্ধান্ত নেয়নি। এখন যে হেতু ভোট এগিয়ে আসছে, রাজ্যের মন্ত্রিসভা এক লাফে দু’শোটি ঘোষণা করে বসেছে। ওরা মানুষকে বোকা বানাতে চায়।’’ ‘মরাঠি অস্মিতা’ উস্কে কংগ্রেস নেতার বক্তব্য, ‘‘মহারাষ্ট্রের পরিকাঠামোর কাজে ৮০ শতাংশ ঠিকাদার গুজরাতের।’’
আজ একটি সাংবাদিক সম্মেলনে শিন্দে বলেছিলেন, ‘‘গত দু’বছরে আমাদের কাজই আমাদের জোটের মুখ। মহাবিকাশ আগাড়ির উচিত বিরোধী নেতার মুখ ঘোষণা করা। আমরা দু’বছরের রিপোর্ট কার্ড পেশ করছি। মাত্র দু’বছরের শাসনকালে এমন বিস্তারিত রিপোর্ট কার্ড বানানোর কাজটা সহজ ছিল না।’’ প্রসঙ্গত, এই বছরের লোকসভা ভোটে মহাবিকাশ আগাড়ির প্রচার আবর্তিত হয়েছিল সংরক্ষণ এবং সংবিধানের উপর খাঁড়া নামতে পারে। ফলে ভোটবাক্সে দলিতদের সমর্থন মিলেছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক শিবিরের খবর, সংরক্ষণের দাবিতে পরস্পর যুযুধান ওবিসি এবং মরাঠার লড়াইয়ে মাছ ধরার সুযোগ খুঁজছে বিজেপি। মহারাষ্ট্রে বিজেপির লক্ষ্য ওবিসি ভোটকে সুসংহত করার। সেই উদ্দেশ্যে বঞ্চিত নারীদের (১৮ থেকে ৬৫ বছরের) মাসে দেড় হাজার টাকার প্রতিশ্রুতি, মধ্যবিত্তদের কথা মাথায় রেখে মুম্বই ঢোকার মুখে টোল ট্যাক্সও মকুব করেছে সরকার।