দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। ফাইল চিত্র।
আবগারি দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের ইস্তফার দাবিতে আজ ফের সরব হল বিজেপি। আজ বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করে তাঁর ইস্তফা দাবি করেন। অন্য দিকে সবসময়ে বিরোধীদের সঙ্গে কেন্দ্রের লড়াই করার মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেজরীওয়াল। তিনি বলেন, ‘‘সরকার যদি সবার সঙ্গে সবসময় লড়াইয়ে ব্যস্ত থাকে, তা হলে উন্নয়ন হবে কী ভাবে!’’
সম্প্রতি আবগারি দুর্নীতিতে দ্বিতীয় চার্জশিট দাখিল করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। যদিও তাতে কেজরীওয়ালের নাম নেই। কিন্তু আবগারী নীতিতে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় এবং শেষ পর্যন্ত দিল্লি সরকার তা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হওয়ার কারণ দেখিয়ে আজ ফের কেজরীওয়ালের ইস্তফা চেয়ে সরবহন বিজেপি সমর্থকেরা। সকাল থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি সমর্থকেরা। পুলিশ ‘ব্যারিকেড’ করে উত্তেজিত বিজেপি সমর্থকদের কোনও মতে ছত্রভঙ্গ করে। এর আগেও আবগারি দুর্নীতি নিয়ে বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা।
এ দিকে আজ কেন্দ্রের মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলে কেজরীওয়াল বলেন, ‘‘কেন্দ্র কেন সকলের সঙ্গে ঝামেলায় যাচ্ছে? কখনও বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্ট, কখনও (বিরোধী-শাসিত) রাজ্যগুলির সঙ্গে আবার কখনও কৃষক বা বণিক সমাজের সঙ্গে সংঘাতে যাচ্ছে।’’ তাই কেন্দ্রকে কেজরীওয়ালের পরামর্শ, “নিজের কাজ করো এবং অন্যকেও করতে দাও। অন্যের কাজে হস্তক্ষেপ কোরো না।” অন্য দিকে দিল্লির সরকারি শিক্ষকদের ফিনল্যান্ডে প্রশিক্ষণে পাঠানোর সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত ফাইল দীর্ঘদিন ধরে উপরাজ্যপালের কাছে পড়ে রয়েছে। তাতে ছাড়পত্র না-দেওয়ায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ দিল্লি সরকার। উপরন্তু সম্প্রতি কেন্দ্র ‘দ্য গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল ক্যাপিটল টেরিটরি অব দিল্লি’ সংশোধিত আইনে উপরাজ্যপালের হাতে আরও বেশি ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয়েছে। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে দিল্লি সরকার। বিষয়টি এখনও শীর্ষ আদালতের বিচারাধীন।
আজ বিজেপিশাসিত কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আপের টুইট, “দিল্লি কেন্দ্রকে পৌনে দু’লক্ষ কোটি (টাকা) কর দিয়েছে। কেন্দ্র থেকে দিল্লি পেয়েছে মাত্র ৩২৫ কোটি। কেন্দ্র তালিবানকে ২০০ কোটি দিয়েছে। মোদীজি তালিবানকে ভালবাসা আর দিল্লিবাসীর প্রতি ঘৃণা কেন?” কেন্দ্রের উদ্দেশে কেজরীওয়ালও টুইট করে লিখেছেন, “আপনারা দেশে শিক্ষা, স্বাস্থ্য আর দিল্লির বরাদ্দ কমিয়ে তালিবানকে যে অনুদান দিচ্ছেন, তা কি ঠিক? মানুষ এর তীব্র বিরোধিতা করছে।” অনেকেই মনে করছেন, বিভিন্ন ঘটনায় ক্ষুব্ধ কেজরীওয়াল আজ কেন্দ্রকে নিশানা করে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।