গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
ব্যবধান মাত্র ঘণ্টা তিনেকের। তারই মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা ভোটে প্রার্থিতালিকা নিয়ে বিজেপির অন্দরের টানাপড়েন প্রকাশ্যে চলে এল। সোমবার সকালে কেন্দ্রশাসিত ওই অঞ্চলের ৯০টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৪৪টিতে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল ‘পদ্ম’ শিবির। কিন্তু ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এর পরে ঘোষণা করা হয় নুতন প্রার্থিতালিকা। কিন্তু এ বার মাত্র ১৫ আসনে।
দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, প্রথম প্রার্থিতালিকায় জম্মু ও কাশ্মীরের বিজেপি সভাপতি রবীন্দ্র রানা এবং প্রাক্তন দুই উপমুখ্যমন্ত্রী, নির্মল সিংহ ও কবীন্দ্র গুপ্ত বাদ পড়ায় দলের অন্দরে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। তা আঁচ করেই তড়িঘড়ি তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। অবশ্য রবীন্দ্র সোমবার দুপুরে দলের অন্দরে মতবিরোধের ‘খবর’ খারিজ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘কিছু আসনে প্রার্থী মনোনয়নের আগে আরও পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। সে কারণেই একটু দেরি হচ্ছে।’’
সংশোধিত প্রার্থিতালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরে বিজেপির ‘সংখ্যালঘু মুখ’ সোফি মহম্মদ ইউসুফ, প্রাক্তন মন্ত্রী সুনীল শর্মা এবং দলের রাজ্য সহ-সভাপতি শক্তিরাজ পরিহার। এরই মধ্যে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আম আদমি পার্টি (আপ)-র সিদ্ধান্তে সোমবার ‘ইন্ডিয়া’য় ফাটল আরও স্পষ্ট হয়েছে। একতরফা ভাবে তারা সাতটি বিধানসভা আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। প্রাক্তন কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজ়াদের দল ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ আজ়াদ পার্টি (ডিপিএপি)-ও একা লড়ার কথা জানিয়ে ১৩ আসনে প্রথম দফার প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করেছে।
২০২২ সালে কংগ্রেস ছেড়েছিলেন গুলাম নবি। রাজ্যসভায় তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার দিন সভায় কেঁদে ফেলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং। পরবর্তী কালে কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করে নতুন দল গড়েন। এ বারের বিধানসভা ভোটে কাশ্মীর উপত্যকায় ‘বিজেপি-পন্থী’ পরিচিত জম্মু-কাশ্মীর আপনি পার্টির প্রধান আলতাফ বুখারি এবং একদা বিজেপির সহযোগী সাজ্জাদ লোনের দল পিপলস কনফারেন্সের সঙ্গে সমঝোতার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আজ়াদ। যদিও তিনি নিজে বিধানসভা ভোটে লড়ছেন না।