—প্রতীকী ছবি।
বঙ্গ তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সদস্য তথা মুখপাত্র বিশ্বজিৎ দেবকে মিজ়োরামের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) হিসেবে নিযুক্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী লালডুহোমা। মঙ্গলবার আইজলে দায়িত্বগ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণমন্ত্রীর মর্যাদা দেওয়া হল তাঁকে। ২০০৮-১৮ সময়কালে মিজ়োরামের এজি ছিলেন বিশ্বজিৎ। অ-মিজ়ো হওয়া সত্ত্বেও প্রতিবাদের মুখে না পড়ে এত দিন ধরে কোনও বঙ্গসন্তানের মিজ়োরামের এজি থাকাটা বিরল নজির।
২০১৮-এ মিজ়োরামে এমএনএফ সরকারে আসার পরে পদত্যাগ করেন বিশ্বজিৎ। ওই বছরই ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে তৃণমূলে যোগ দেন। হয়েছেন রাজ্য কমিটির সদস্য ও মুখপাত্র। তাঁর উদ্যোগেই ২০১৯ সালে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধী মহাজোটের জনসভায় হাজির হন প্রাক্তন আইপিএস লালডুহোমা। এনআরসি ও সিএএ-র বিরোধিতা করে বক্তব্যও রাখেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী হয়ে লালডুহোমা রাজ্যের হাল-হকিকত সম্পর্কে ওয়াকিবহাল বিশ্বজিৎকেই ফের এজি করলেন। মঙ্গলবার দায়িত্বগ্রহণের পরে লালডুহোমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিশ্বজিৎ।
মিজ়োরামের সামনে এখন মূল সমস্যা তিনটি। অসমের সঙ্গে সীমানা বিবাদ, রাজ্যে আশ্রয় নেওয়া মায়ানমার ও বাংলাদেশের প্রায় ৩৫ হাজার শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়া ও তুইরিয়াল প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ দেওয়া। কংগ্রেস আমলে বিশ্বজিৎকে ব্রু শরণার্থী সমস্যা সামলাতে হয়েছিল। বর্তমানে জটিলতা বাড়ছে প্রতিবেশী দেশের কুকি-চিন-জ়ো শরণার্থীদের কেন্দ্রীয় নীতি অমান্য করে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে। বিশ্বজিৎ বলেন, ‘‘শরণার্থী সমস্যার আইনি দিক নিয়ে ও সীমানা সমস্যার মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে আমি রাজ্যকে সাহায্য করব।’’ তুইরিয়াল জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত মামলায় হেরে যায় সরকার। তা নিয়ে ফের আবেদন করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী, কারণ ওই পরিমাণ ক্ষতিপূরণ রাজ্যকে দিতে হলে তা সামলানো নতুন সরকারের পক্ষে বিরাট সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।
বিশ্বজিতের কথায়, “মিজ়োরামের এজি হলেও পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের কাজ অব্যাহত থাকবে। তাই পদ গ্রহণের আগে শর্তই দিয়েছিলাম, আমার হেডকোয়ার্টার হবে কলকাতা, প্রিন্সিপাল বেঞ্চ গৌহাটি হাই কোর্ট। মুখ্যমন্ত্রী তা মেনে নিয়েছেন।”