কুনোর জঙ্গলে আফ্রিকান চিতা। —ফাইল ছবি
নামিবিয়া থেকে আনা চিতাগুলির খাদ্য হিসাবে মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে সরবরাহ করা হচ্ছে চিতল হরিণ, যার প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিষ্ণোই সম্প্রদায়। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বিষয়টি বিবেচনার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।
সূত্রের ধবর, ভিন্দেশি চিতাগুলির খাদ্য হিসাবে ১৮১টি চিতল হরিণ কুনোর জঙ্গলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার প্রতিবাদে বিজেপি নেতা কুলদীপ বিষ্ণোই একটি টুইটে লিখেছেন, ‘আমি শুনেছি, চিতাগুলির জন্য হরিণ পাঠানো হচ্ছে। কেন্দ্র সরকারকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার অনুরোধ করছি। রাজস্থানে এই হরিণ বিলুপ্তির মুখে। তাদের চিতার মুখে তুলে দেওয়া বিষ্ণোইদের ভাবাবেগেও আঘাত হানছে। এটা যদি সত্যি হয়, তা হলে অবিলম্বে তা বন্ধ করা উচিত।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এ বিষয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে বিষ্ণোইদের তরফে। তাঁদের বক্তব্য, চিতাগুলির জন্য হরিণ পাঠানো আসলে ‘পরিকল্পিত হত্যা’। এই হত্যা বন্ধ করা দরকার।
বিষ্ণোই সম্প্রদায় বন্যপ্রাণীদের হত্যা করেন না। কৃষ্ণসার হরিণ-সহ যে কোনও বন্যপ্রাণীকে শ্রদ্ধার চোখে দেখেন তাঁরা। হরিণের এই বিশেষ প্রজাতিকে রক্ষার জন্য বিষ্ণোই মহাসভার তরফে দীর্ঘ দিন ধরেই প্রচেষ্টা চলছে। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে তাই সর্বভারতীয় বিষ্ণোই মহাসভার প্রধান জানিয়েছেন, চিতাদের জন্য হরিণ পাঠানোর খবর অত্যন্ত বেদনাদায়ক। তিনি আরও জানান, চিতা দেশ থেকে অনেক আগে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে, সরকার তাদের বাইরে থেকে আনিয়েছে। অথচ, যে বন্যপ্রাণীরা দেশে বিলুপ্তির মুখে, তাদের সংরক্ষণের কোনও চেষ্টাই করা হচ্ছে না। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি।
নামিবিয়া থেকে আটটি চিতা ভারতে উড়িয়ে আনা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে শনিবার তাদের খাঁচামুক্ত করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। আফ্রিকার চিতারা ভারতের জলবায়ুতে মানিয়ে নিতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন পরিবেশবিদরা।