ত্রিপুরায় তৃণমূল কর্মীদের আহত হ ওয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ফাইল চিত্র
ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগে আগরতলা পূর্ব মহিলা থানা ঘিরে বিজেপি-র তাণ্ডবের অভিযোগ করেছে তৃণমূল। তাঁদের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলায় রক্তাক্ত হয়েছেন একাধিক তৃণমূল কর্মী এবং নেতা। এই প্রেক্ষিতে টুইট করে বিপ্লব দেবকে সরাসরি আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
টুইটে তিনি লেখেন, ‘বিপ্লব দেব এতই নির্লজ্জ যে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকেও পাত্তা দিচ্ছেন না। অভিষেকের অভিযোগ, বিপ্লব বার বার তৃণমূল সমর্থক এবং মহিলা প্রার্থীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার বদলে তাঁদের উপর হামলা চালাতে গুন্ডা পাঠাচ্ছেন। বিজেপির শাসনে গণতন্ত্রে প্রহসনে পরিণত হয়েছে।’
শনিবারের পর রবিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল ত্রিপুরা। আগরতলায় তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ থানায় ঢোকার পর নতুন করে উত্তেজনার খবর আসে। বিজেপি-র বিরুদ্ধে থানায় ঢুকে হামলা চালানোর অভিযোগ করে জোড়াফুল শিবির। তৃণমূলের দাবি, থানার বাইরে লাঠি হাতে, হেলমেট পরে জমায়েত করে বিজেপি। সায়নী থানায় ঢুকতেই আক্রমণ করে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সেই সঙ্গে তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিকের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ।
‘হিট অ্যান্ড রান’-এর অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সায়নী ঘোষকে নিয়ে তৃণমূল নেতারা আগরতলা মহিলা থানায় ঢোকার পর ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, তাঁদের থানায় ডেকে এনে পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালানো হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিকের দাবি, ‘‘পুলিশকে কাজে লাগিয়ে এ ভাবে তৃণমূলের পথরোধ করার চেষ্টা করছে বিজেপি। নেতা কর্মীদের উপর ইটবৃষ্টি চলছে, পুলিশ নীরব দর্শক। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘ত্রিপুরায় জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। থানায় ডেকে এনে মেরে ফেলার পরিকল্পনা ছিল।’’
শনিবার প্রথমে বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থার অভিযোগ সামনে আসে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। এর পর ফিরহাদ হাকিমের সভায় আলো নিভিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। রবিবার উত্তেজনা বাড়ে। এই প্রেক্ষিতেই এ বার সরব হলেন স্বয়ং অভিষেক।