Biman Banerjee

Biman Banerjee: দিল্লিতে স্পিকার-বৈঠকে যোগ দিলেন না বিমান

দলত্যাগ বিরোধী আইনে স্পিকারের ক্ষমতা নিয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা রাজ্যগুলির বিধানসভার স্পিকারদের সঙ্গে বৈঠক করলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি ও কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২২ ০৮:১৭
Share:

ফাইল ছবি

দলত্যাগ বিরোধী আইনে স্পিকারের ক্ষমতা নিয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা রাজ্যগুলির বিধানসভার স্পিকারদের সঙ্গে বৈঠক করলেন। কিন্তু সেই বৈঠকে যোগ দিলেন না রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

রাজ্যে তৃণমূলের জমানায় বহু বিরোধী বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিলেও তাঁদের বিরুদ্ধে দলত্যাগ আইন প্রয়োগ করে বিধায়ক পদ খারিজ করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে শিবসেনার সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়ক দলের ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিজেপির সঙ্গে যোগ দেওয়ার পরেও দলত্যাগ বিরোধী আইন ও স্পিকারের ক্ষমতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় দলত্যাগী বিধায়কদের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত না নিয়ে বসে থেকেছেন বলে তাঁর দিকে অভিযোগের আঙুল। সে কারণেই তিনি স্পিকারদের বৈঠকে যোগ দেননি কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বক্তব্য, ২০১১ থেকে রাজ্যে ৫৯ জন বিধায়ক দলত্যাগ করে অন্য দলে যোগ দিয়েছেন। কারও বিরুদ্ধেই দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ করা হয়নি। সে কারণেই হয়তো বিমানের বৈঠকে যোগ দিতে অসুবিধা থাকতে পারে।

বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য জানিয়েছেন, কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন (সিপিএ)-র সম্মেলন হবে কানাডায়। তার প্রস্তুতি এবং প্রতিনিধি বাছাই নিয়েই লোকসভার স্পিকার দিল্লিতে বৈঠক ডেকেছিলেন। বিমান বলেন, ‘‘কানাডায় আমি যাব না। তাই আমি এই বৈঠকে যাচ্ছি না, এটাআমি লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলাম। এই নিয়ে আর যা বলা হচ্ছে সেগুলি ভিত্তিহীন অভিযোগ।’’

Advertisement

লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার সঙ্গে বিধানসভার স্পিকারদের বৈঠকে দলত্যাগী বিরোধী আইন নিয়ে আলোচনা হলেও, ফের কোনও ঐকমত্য তৈরি হয়নি। বিড়লা জানিয়েছেন, দলত্যাগ বিরোধী আইন মজবুত করতে সাংবিধানিক ও আইনি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। সূত্রের খবর, দু’টি ভিন্ন মত উঠে এসেছে বৈঠকে। একটি হল, স্পিকারের ক্ষমতায় রদবদল করা হোক। কারণ একাধিক রাজ্যেই স্পিকারের ক্ষমতার অপব্যবহার হচ্ছে বলে অভিযোগ। স্পিকার দীর্ঘদিন ধরে কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না। লোকসভাতেও শিশির অধিকারীদের সাংসদ পদ খারিজের জন্য তৃণমূলের আবেদনের পরে দীর্ঘদিন সিদ্ধান্ত হয়নি। দ্বিতীয় মত হল, রাজনৈতিক দলের সভাপতির উপরে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া হোক। তিনিই ঠিক করবেন, দলত্যাগী বিধায়ক বা সাংসদের সদস্যপদ থাকবে কি না। এর আগেও স্পিকারদের সম্মেলনে এ বিষয়ে ঐকমত্য হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement