—প্রতীকী চিত্র।
বিলকিস বানোকে গণধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১১ জন জেলে ‘ভাল আচরণ’ করত। তাঁদের সাজা মকুব করার সপক্ষে সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এই যুক্তিই দিল গুজরাত সরকার। শীর্ষ আদালতে গুজরাত সরকারের কৌঁসুলি হলফনামা দিয়ে জানান, দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১১ জন ১৪ বছর জেল খেটেছেন। তা ছাড়া জেলের ভিতর তাঁরা ভাল ব্যবহার করতেন। তাই তাঁদের ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত ১৫ অগস্ট বিলকিসের ১১ জন ধর্ষককে মুক্তি দেওয়া হয়। ঘটনাচক্রে ওই একই দিনে স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লালকেল্লা থেকে নারী ক্ষমতায়নের পক্ষে সওয়াল করেন। দোষীরা ছাড়া পাওয়ার পর বিলকিস গুজরাত সরকারের কাছে ‘ভয়মুক্ত হয়ে শান্তিতে বাঁচার’ আর্জি জানিয়েছিলেন। বিলকিসের স্বামী বলেছিলেন, তাঁরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। সারা দেশেই বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন বিলকিসের ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে গুজরাতে গোধরা-পরবর্তী দাঙ্গার সময় পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিসকে গণধর্ষণ করেন এই ১১ জন। বিলকিসের মেয়ে-সহ পরিবারের সাত জনকে তাঁর চোখের সামনেই খুন করা হয়।