সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
বিলকিস বানো-কাণ্ডে ১১ দোষীর মুক্তির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া মামলায় গুজরাত সরকারকে মুক্তির নির্দেশপত্র জমা দিতে বলল সুপ্রিম কোর্ট। যে শুনানি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দোষীদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তার ভিডিয়ো রেকর্ডিংও জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবারের শুনানিতে গুজরাত সরকারকে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে দোষীদের মুক্তির নির্দেশনামা এবং শুনানি প্রক্রিয়ার রেকর্ডিং আদালতে জমা করতে হবে।
গত ২৩ অগস্ট, মঙ্গলবার বিলকিসের ধর্ষকদের মুক্তির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন সিপিআইএমের পলিটব্যুরো সদস্য সুভাষিণী আলি, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্ররা। মামলাটি উত্থাপন করেন আইনজীবী অপর্ণা ভট্ট। ওই মামলায় এর আগে দোষীদের পক্ষ বানিয়ে গুজরাত সরকারের কাছে মুক্তির সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জবাব তলব করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে গোধরা-কাণ্ডের পর গুজরাতে সাম্প্রদায়িক অশান্তি চলাকালীন ৩ মে দাহোড় জেলার দেবগড় বারিয়া গ্রামে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়। গ্রামের বাসিন্দা পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ করা হয়। বিলকিসের চোখের সামনেই তাঁর তিন বছরের মেয়েকে পাথরে আছড়ে মারে হামলাকারীরা। ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে। তাঁর পরিবারের আরও কয়েক জন সদস্যকে হত্যা করা হয়। এই অপরাধকে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ আখ্যা দিয়ে মুম্বইয়ের সিবিআই আদালতে কঠোর সাজার পক্ষে সওয়াল করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছিল ওই বিশেষ আদালত। মামলা চলাকালীন এক জনের মৃত্যু হয়।