বিলকিস মামলায় নোটিস গুজরাতকে

২০০২ সালের ৩ মার্চ, গোধরা হিংসার সময়ে অমদাবাদের কাছে দাহোড় জেলার রাধিকপুর গ্রামে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ করা হয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৭ ০২:৩৪
Share:

বিলকিস বানো।

বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত কত দূর এগিয়েছে বা তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা তা গুজরাত সরকারের কাছে জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে তার রিপোর্ট দিতে আজ নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

Advertisement

২০০২ সালের ৩ মার্চ, গোধরা হিংসার সময়ে অমদাবাদের কাছে দাহোড় জেলার রাধিকপুর গ্রামে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ করা হয়। খুন করা হয় তাঁর পরিবারের ১৪ জনকে। ওই ঘটনায় ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বাড়ানোর দাবি নিয়ে সম্প্রতি সু্প্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন বিলকিস। সূত্রের খবর, প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি এ এম খানবিলকর ও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে গৃহীত হয়েছে ওই আর্জি। ২০০৮-এ ওই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ১২ জনকে যাবজ্জীবনের সাজা দেয় বিশেষ আদালত। মামলা চলাকালীন এক জন সাজাপ্রাপ্তের মৃত্যু হয়। বিশেষ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বাকি ১১ জন। তবে তাঁদের আর্জি খারিজ করে দিয়ে বিশেষ আদালতের শাস্তিই বহাল রাখে বম্বে হাইকোর্ট।

বিশেষ আদালতে ছাড় পেলেও গুজরাত পুলিশের পাঁচ আধিকারিক ও দুই ডাক্তারের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতি ও তথ্যপ্রমাণ নষ্টের অভিযোগ বহাল রেখেছিল বম্বে হাইকোর্ট। এ বার তদন্ত কত দূর এগোল, জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement