বিহারের এই ছবিই ভাইরাল হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
চড়া রোদের মধ্যে বস্তা বস্তা বই মাথায় চাপিয়ে সরকারি অফিস থেকে হেঁটে নিজেদের স্কুলে নিয়ে যাচ্ছে ছাত্রেরা। অভিযোগ, বিহারের সমস্তিপুর জেলার দুই সরকারি স্কুলের প্রধানশিক্ষকের নির্দেশেই এ কাজ করতে বাধ্য হয়েছে ওই পড়ুয়ারা। এই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসেছে সে রাজ্যের শিক্ষা দফতর। তড়িঘড়ি ওই দুই প্রধানশিক্ষককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সমস্তিপুরের হনুমাননগর এবং নারায়ণপুরের মিডল স্কুলের ছাত্রদের এ কাজে বাধ্য করিয়েছিলেন দুই স্কুলের প্রধানশিক্ষক যথাক্রমে সুচিত্রা রেখা রাই এবং সুরেশ পাসওয়ান। অভিযোগ, ব্লক অফিস থেকে বইয়ের বস্তা মাথায় নিয়ে নিজেদের স্কুলে যেতে প্রায় এক কিলোমিটার হাঁটতে হয়েছে ছাত্রদের। প্রশ্ন উঠছে, সরকারি অফিস থেকে স্কুলে বই আনতে কেন ছুটবে ছাত্রেরা? সে জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষেরা কি অন্য বন্দোবস্ত করতে পারতেন না? যদিও এই ঘটনায় দোষের কিছু দেখছেন না ওই দু’টি স্কুলের শিক্ষকদের একাংশ। তাঁদের দাবি, ওই ছাত্রেরা তো শিশু নয় যে বইয়ের বস্তা বইতে পারবে না!
প্রসঙ্গত, ‘চহক’ নামে একটি প্রকল্পের অঙ্গ হিসাবে বিহারের স্কুলগুলিতে বই পাঠানোর বন্দোবস্ত করেছে সে রাজ্যের শিক্ষা দফতর। এই প্রকল্পে স্কুলগুলিতে বস্তা বস্তা বই সরবরাহ করার আগে তা মহিউদ্দিননগরের ব্লক রিসোর্স অফিসে ওই বইগুলি পাঠানো হয়েছিল। এর পর সেগুলি ব্লক শিক্ষা আধিকারিকের তত্ত্বাবধানে রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুলে পাঠানোর বন্দোবস্ত করা হয়। তবে ওই অফিস থেকে বইগুলি নিজেদের স্কুলে আনার জন্য ছাত্রদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বলে দু’টি স্কুলের প্রধানশিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ।
ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পর ব্লক আধিকারিকের কাছে এর কারণ জানাতে বলেন জেলা শিক্ষা আধিকারিক। ২৩ সেপ্টেম্বর এই মর্মে ব্লক আধিকারিককে একটি চিঠিও দেন তিনি। গোটা ঘটনায় দুই প্রধানশিক্ষককে সাসপেন্ড করেছেন জেলা কর্মসূচি আধিকারিক।