Bihar

Graduate Kattawale Gang: কেউ অধ্যাপক, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ ডাক্তার! বিহার কাঁপাচ্ছে গ্র্যাজুয়েট কট্টাবালে গ্যাং

গ্যাংয়ের নাম শুনে এই প্রশ্নটা স্বাভাবিক ভাবেই মনে আসতে পারে, গ্যাংয়ের এ রকম নামের অর্থ কী? কেনই বা এই নাম দেওয়া হল। কাহিনির চমক এখানেই।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

পটনা শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২২ ১৩:২১
Share:

প্রতীকী ছবি।

জামতাড়া গ্যাংয়ের নাম তো হামেশাই শোনা যায়। এ বার আরও এক নতুন গ্যাংয়ের তাণ্ডবে পুলিশের ঘুম ছুটেছে। এই গ্যাং-ও বিহারের। নতুন এই গ্যাংয়ের নাম ‘গ্র্যাজুয়েট কট্টাবালে গ্যাং’! নেপাল এবং বাংলাদেশ সীমান্তলাগোয়া বিহারের পূর্ণিয়ায় রমরমা এই গ্যাংয়ের।

Advertisement

গ্যাংয়ের নাম শুনে এই প্রশ্নটা স্বাভাবিক ভাবেই মনে আসতে পারে, গ্যাংয়ের এ রকম নামের অর্থ কী? কেনই বা এই নাম দেওয়া হল। কাহিনির চমক এখানেই। জামতাড়া গ্যাংয়ের সঙ্গে এই গ্যাং-কে গুলিয়ে ফেললে ভুল হবে। এই গ্যাং উচ্চশিক্ষিতদের। স্নাতক, অধ্যাপক থেকে শুরু করে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়াররাও রয়েছেন এই গ্যাংয়ে!

লুটপাট, অপহরণ, ডাকাতির মতো বড় বড় ঘটনার সঙ্গে জড়িত এই গ্যাং পুলিশের ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছে। দিনের বেলায় এই গ্যাংয়ের সদস্যদের চেনাই দায়। পাড়ার লোক তাঁদের ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, মেধাবী ছাত্র হিসেবেই চেনেন। কিন্তু সূর্যের আলো ঢলে পড়তেই এঁরা খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। তখন আর তাঁরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা মেধাবী ছাত্র নন, তাঁরা হলেন ‘গ্র্যাজুয়েট কট্টাবালে গ্যাং’। তখন তাঁদের হাতেই উঠে আসে বন্দুক, ছোরা।

Advertisement

পূর্ণিয়া ছাড়াও এই গ্যাং সক্রিয় আরারিয়া, কিষানগঞ্জ এবং কাটিহারের মতো জেলাগুলিতে। সম্প্রতি একটি লুটের ঘটনায় মহম্মদ মুক্তার এবং শেখর ভারতী নামে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের জেরা করার সময় পুলিশের হাতে যে তথ্য উঠে এসেছে, তা শুনে দুঁদে পুলিশ আধিকারিকরাও চমকে উঠেছেন। জেরার সময় পুলিশ জানতে পারে মুক্তার কাটিহারের ফলকা থানার বাসিন্দা। শেখর পূর্ণিয়ার বাসিন্দা।

মুক্তার হরিয়ানায় মাসিক ৩৫ হাজার টাকার বেতনে কাজ করতেন। কিন্তু সেই চাকরি ছেড়ে এই গ্যাংয়ে যোগ দেন। শেখর ভারতী আবার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং করেছেন। তিনিও কাজ ছেড়ে এই দলে শামিল হয়েছেন। ধৃতদের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই দলের সদস্য মহম্মদ সোনেবর বিসিএ করেছেন। মহম্মদ এহেতসাম বিএড করেছেন। মহম্মদ সাদাব নিজে এক জন প্যাথোলজিস্ট। তাঁর প্যাথোলজি ল্যাবও ছিল। সব ছেড়ে এই গ্যাংয়ে ঢুকেছেন। মাধেপুরা জেলার বিহারিগঞ্জ থানার রবিকুমার বিশ্বাস আবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরে কেরানির কাজ করতেন।

ভাল ডিগ্রি, উচ্চশিক্ষিত এবং ভাল বেতনের চাকরি ছেড়ে কেন লুটপাটের রাস্তায় এলেন তাঁরা? ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, বেশ কিছু দুষ্কৃতীকে তাঁদের আদর্শ হিসেবে মানেন তাঁরা। কেন না, ওই সব দুষ্কৃতী বা গ্যাংস্টাররা উচ্চশিক্ষিত না হয়েও বিলাসবহুল জীবনযাপন করে শুধু অপরাধমূলক কাজ করেই। ফলে সামান্য বেতনের চাকরির তুলনায় লাখ লাখ টাকা উপার্জনের তাগিদেই উচ্চশিক্ষিতদের এই গ্যাং গড়ে তোলা হয়েছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement