প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বিহারের গোপালগঞ্জ থেকে তেজস্ক্রিয় পাচার করা হচ্ছে, গোপন সূত্রে খবরটা আগেই পেয়েছিল পুলিশ। সেই খবর পাওয়ার পরই পুলিশের বেশ কয়েকটি দল নজরদারি চালাচ্ছিল। সেই অভিযান চালানোর সময় তিন যুবককে গ্রেফতার করে তারা। তাঁদের কাছ থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার হয়। সেই ব্যাগের তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার হয় তেজস্ক্রিয় পদার্থ।
গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) স্বর্ণ প্রভাত জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন তিন যুবককে আটক করা হয় বলথারি পুলিশচৌকির কাছে। তাঁদের ব্যাগ থেকে ৫০ গ্রাম ‘ক্যালিফোর্নিয়াম’ উদ্ধার হয়েছে। যার এক গ্রামের দাম ১৭ কোটি টাকা। পুলিশ জানিয়েছে, যে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁরা দাবি করেছেন, ওই তেজস্ক্রিয় গবেষণাগারের পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ধৃতেরা আইআইটি মাদ্রাজের নামও উল্লেখ করেন। ফলে আরও সন্দেহ বাড়ে পুলিশের।
ধৃতদের সেই দাবির ভিত্তিতে আইআইটি মাদ্রাজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিহার পুলিশ। এসপি স্বর্ণ প্রভাত জানান, আইআইটি মাদ্রাজের অধ্যাপক এস মোহনের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করার পর জানা যায়, ধৃতেরা যে দাবি করেছেন, সেটি সম্পূর্ণ ভুয়ো। তা হলে কোথা থেকে ‘ক্যালিফোর্নিয়াম’ সংগ্রহ করেছিলেন ধৃতেরা, এখন সেই উত্তরই খুঁজছে পুলিশ।
এসপি আরও জানিয়েছেন, বাজেয়াপ্ত হওয়া তেজস্ক্রিয় পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ফরেন্সিক দলকেও ডাকা হয়েছে। তিন বছর আগে উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে ৩৪০ গ্রাম ‘ক্যালিফোর্নিয়াম’ বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ। সেই সময় এই তেজস্ক্রিয়ের এক গ্রামের দাম ছিল ১৯ কোটি টাকা। সেই সময় ধৃতেরা দাবি করেছিলেন, কয়লাখনির এক শ্রমিক তাঁদের ওই তেজস্ক্রিয় দিয়েছিলেন।