R G Kar Hospital Incident

বহিরাগত যুবক কী ভাবে উঠে পড়লেন চার তলায়? সেমিনার হল থেকে মিলল ছেঁড়া হেডফোনের অংশও

লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, চার তলার যে সেমিনার হল থেকে তরুণীর দেহ উদ্ধার করা হয়, সেই হলঘরে কোনও সিসি ক্যামেরা ছিল না। সেখান থেকেই পাওয়া গিয়েছে একটি ব্লুটুথ হেডফোনের ছেঁড়া অংশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০২৪ ১০:১১
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় উঠছে নানা প্রশ্ন। ক্রমেই জটিল হচ্ছে রহস্য। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। লালবাজার সূত্রে খবর, ওই যুবক হাসপাতালের কেউ নন। তিনি বহিরাগত। কী ভাবে বহিরাগত হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চার তলায় উঠে পড়লেন, সেই প্রশ্ন উঠেছে। পাশাপাশি, চার তলার সেমিনার হল থেকে একটি ছেঁড়া হেডফোনের অংশও পেয়েছে পুলিশ।

Advertisement

লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, চার তলার যে সেমিনার হল থেকে তরুণীর দেহ উদ্ধার করা হয়, সেই হলঘরে কোনও সিসি ক্যামেরা ছিল না। ওই ঘরটিকে মাঝে মাঝে চিকিৎসকেরা বিশ্রামের জন্য ব্যবহার করতেন। অনেক সময় মহিলা চিকিৎসকেরা পোশাকও পরিবর্তন করতেন। তাই সেখানে ক্যামেরা ছিল না। তবে বাইরের বাকি অংশের ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেমিনার হলে তল্লাশি চালানোর সময় একটি ছেঁড়া হেডফোনের অংশ পাওয়া গিয়েছে। সেটি ব্লুটুথ হেডফোন বলে খবর। কী ভাবে তা সেখানে এল, আদৌ তা ওই তরুণীর কি না, ঘটনার সঙ্গে হেডফোনের কোনও যোগ আছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায় বহিরাগত গ্রেফতার হওয়ায় হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অবাধে কী ভাবে ওই যুবক চার তলায় উঠে পড়েছিলেন, নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে দেখতে পেয়েছিলেন কি না, কেন বাধা দেওয়া হয়নি, প্রশ্ন উঠেছে। নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে ইতিমধ্যে হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। তবে জরুরি বিভাগ খোলা রয়েছে।

Advertisement

সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে শুক্রবার রাতেই যুবককে আটক করেছিল পুলিশ। সারা রাত তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। লালবাজার সূত্রে খবর, যুবকের উত্তরে অসঙ্গতি ছিল। তাই শনিবার সকালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

শুক্রবার আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চার তলার হলঘর থেকে এক তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক ভাবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, তরুণীর মুখ, পেট, ঠোঁট, গলা, এমনকি যৌনাঙ্গেও ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। কী ভাবে সে সব ক্ষত তৈরি হল, তা রিপোর্টে স্পষ্ট নয়। তরুণীর পরিবারের লোকজনের দাবি, তাঁদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতেই খুনের পাশাপাশি ধর্ষণের মামলাও রুজু করেছে টালা থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনারও।

শুক্রবারই আরজি করে গিয়েছিলেন তৃণমূল এবং বিজেপি নেতৃত্ব। রাত পর্যন্ত হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখান বাম যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের সদস্যেরা, নেতৃত্বে ছিলেন মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। অভিযোগ, এই ঘটনাকে প্রথমে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল। উপযুক্ত তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। তরুণীর দেহের ময়নাতদন্ত করা হয় আরজি কর হাসপাতালেই। তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মিনাক্ষীরা। যে হাসপাতালে এমন ঘটনা ঘটেছে, সেখানেই কেন ময়নাতদন্ত হচ্ছে, তা জানতে চেয়েছেন তাঁরা। শুক্রবার তরুণীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। উপযুক্ত তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement