নীতীশ কুমার। —ফাইল চিত্র।
পঞ্চম বারের জন্য রাজনৈতিক ‘ডিগবাজি’ খেয়ে ফের এনডিএ শিবিরে ভিড়েছেন নীতীশ কুমার। রবিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপির সমর্থন নিয়ে বিকেলেই ওই পদে শপথ নিয়েছেন তিনি। সোমবার বিহারের নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক ডাকলেন নীতীশ। পটনায় সকাল সাড়ে ১১টা থেকে এই বৈঠক শুরু হওয়ার কথা।
বিজেপি এবং নীতীশের দল জেডিইউ সূত্রে খবর, মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই রাজ্যের নতুন অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি)-কে বেছে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হবে। তা ছাড়া বিধানসভার অধিবেশন কবে ডাকা যায়, তা নিয়েও আলোচনা করবেন মন্ত্রিসভার সদস্যেরা।
আরজেডি এবং কংগ্রেসের সঙ্গত্যাগের পর রবিবার বিকেলে নবম বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন নীতীশ। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন বিজেপির সম্রাট চৌধরি এবং বিজয় কুমার সিন্হা। তা ছাড়াও মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয় জেডিইউ-র বিজয় কুমার চৌধরি, শ্রবণ কুমার, বিজেন্দ্র যাদব এবং বিজেপির প্রেম কুমারের। মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয় হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (হাম)-র নেতা তথা জিতমরাম মাঝির পুত্র সন্তোষ কুমার সুমনের। রাজ্যের একমাত্র নির্দল বিধায়ক সুমিত কুমার সিংহও মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন।
রবিবারই নীতীশ জানিয়েছিলেন যে, এক-দু’দিনের মধ্যে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ ঘটাবেন তিনি। এই সম্প্রসারণে একাধিক বিষয় মাথায় রাখা হবে বলে সূত্রের খবর। উপমুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে সম্রাট কুশওয়াহা জাতিগোষ্ঠীর মানুষ। অন্য দিকে, বিজয় ভূমিহার নেতা। মনে করা হচ্ছে, জাতপাতের অঙ্ক মাথায় রেখেই মন্ত্রিসভায় উচ্চবর্ণ এবং অনগ্রসর শ্রেণির সমান প্রতিনিধিত্ব রাখতে চাইছে বিহারের নতুন সরকার। বিহার মন্ত্রিসভায় সর্বোচ্চ ৩৫ জন সদস্য থাকতে পারেন। রবিবার নীতীশকে বাদ দিয়ে মোট আট জন মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন।