১৪ মে নিজের কেন্দ্র মুঙ্গেরে পাঁঠার মাংস এবং ভাতের ভোজ দিয়েছিলেন নীতীশের দলের সভাপতি। ফাইল চিত্র
দিন কয়েক আগেই এলাকায় মাংস-ভাতের ঢালাও ভোজ দিয়েছিলেন জেডিইউ প্রধান। প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পাত পেড়ে খেয়েছিলেন। ছিলেন বিহারের শাসক দল জেডিইউয়ের স্থানীয় নেতা নেত্রীরাও। বিজেপির অভিযোগ, সেই ভোজে কুকুরে মাংস খাওয়ানো হয়েছে। তাঁদের যুক্তি, ওই ভোজের পর থেকেই আর দেখা পাওয়া যাচ্ছে না ওই চত্বরের পথকুকুরগুলির।
বিহারের মুঙ্গেরের ঘটনা। সেখানেই বাড়ি জনতা দল ইউনাইটেডের প্রধান লালন সিংহের। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশকুমার এই দলের চেয়ারম্যান হলেও লালন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি। আবার তিনি মুঙ্গেরের সাংসদও। লোকসভায় জেডিইউকে নেতৃত্ব দেন লালন। তাঁর বিরুদ্ধেই কুকুরের মাংস খাওয়ানোর অভিযোগ এনেছেন বিহারের বিজেপি নেতা বিজয়কুমার সিংহ।
গত ১৪ মে নিজের কেন্দ্র মুঙ্গেরে পাঁঠার মাংস এবং ভাতের ভোজ দিয়েছিলেন লালন। ৩০ হাজারের বেশি আমন্ত্রিত ছিলেন সেখানে। মাথাগুনতি হিসাবে এসেছিলেন ২৯ হাজার ৫৬৮ জন। বিজেপি নেতা বিজয়ের অভিযোগ, ‘‘ওই অনুষ্ঠানের পর থেকেই মুঙ্গেরের হাজার হাজার পথকুকুরের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। স্থানীয় বাসিন্দারাই এমন অভিযোগ করেছেন।’’ বিজয়ের দাবি, ‘‘যাঁরা সে দিন লালনের বাড়িতে গিয়েছিলেন, তাঁদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হলেই বোঝা যাবে, সে দিন কিসের মাংস খেতে দেওয়া হয়েছিল?’’
লালনের বিরুদ্ধে ওই ভোজের অনুষ্ঠানে মদ খাওয়ানোর অভিযোগও এনেছে বিজেপি। বিহারের বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা বিজয়। তাঁর অভিযোগ, ‘‘বিষয়টি মোটেই উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়। ওই মাংস খেয়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। তা ছাড়া ভোজবাড়িতে এ ভাবে সুরা সরবরাহ করাও অবৈধ।’’ বিহারে মদ নিষিদ্ধ করেছেন জেডিইউ মুখ্যমন্ত্রী নীতীশই। তাই ভোজের অনুষ্ঠানে মদ খাওয়ানোর অভিযোগটিও গুরুতর বলেই মত স্থানীয় রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। যদিও এই অভিযোগের ব্যাপারে জেডিইউয়ের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।