বিহারের সরকারি কর্তা উদয় কুমার উজ্জ্বল। ছবি: সংগৃহীত।
গ্রামের বাড়িতে ফেরার পথে অপহৃত হলের বিহারের এক সরকারি কর্তা। কিন্তু শেষমেশ দুষ্কৃতীদের হাত থেকে পালাতেও সক্ষম হলেন তিনি। কী ভাবে পালালেন সেই ঘটনা কোনও বলিউ়ডি ছবিকেও হার মানাবে।
উদয় কুমার উজ্জ্বল। বিহারের বৈশালী জেলা শিক্ষা দফতরের এক শীর্ষ আধিকারিক। শনিবার রাতে হাজিপুর থেকে গাড়িতে করে পটনায় নিজের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। গাড়িতে উদয় ছাড়াও তাঁর চালক ছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, হাজিপুর-ছপরা হাইওয়ে ধরে উদয়ের গাড়িটি পটনার উদ্দেশে যাচ্ছিল। কিন্তু সোনপুরের কাছে ছয় দুষ্কৃতী বাইক নিয়ে তাঁর গাড়ি আটকায়।
অভিযোগ, ছয় দুষ্কৃতী প্রথমে গাড়িচালককে শাসাতে শুরু করে। তার পর তাঁকে গাড়ি থেকে টেনে নামিয়ে মারধর করে। তত ক্ষণে কয়েক জন দুষ্কৃতী গাড়িতে উঠে পড়েছিল। এক জন চালকের আসনে বসে। বাকিরা চটপট গাড়িতে উঠে পড়ে। তত ক্ষণে উদয় বুঝতে পেরেছিলেন যে, তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে। পুলিশকে উদয় জানিয়েছেন, গাড়িতে করে তাঁকে শোনপুরের বিভিন্ন জায়গায় কয়েক ঘণ্টা ধরে ঘোরাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তাঁর কাছে পাঁচ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। শুধু তাই-ই নয়, উদয়কে তাঁর এটিএম কার্ডের পিন নম্বরও দেওয়ার জন্য জোরাজুরি করা হয়। এই ঘটনা যখন ঘটছে, চালক আচমকাই গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। ফলে গাড়িটি রাস্তার পাশের নালায় গিয়ে পড়ে।
উদয়ের দাবি, এই ঘটনার পর দুষ্কৃতীরা যখন নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, সেই সুযোগেই তিনি গাড়ির দরজা খুলে লাফ মারেন। তার পর ছুটে পালান। পুলিশ জানিয়েছে, উদয়ের গাড়ির চালক অপহরণের বিষয়ে খবর দেন। সেই খবর পেয়ে তল্লাশি অভিযানে নামে পুলিশ। সোনপুরের একটি এলাকা থেকে গাড়িটি উদ্ধার হয়। প্রায় দু’ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয় উদয়কেও।