Murder

প্রেমিকের সাহায্য নিয়ে বোনকে খুন, অ্যাসিড দিয়ে দেহ পুড়িয়ে জঙ্গলে ছড়িয়ে দিল বিহারের কিশোরী

পুলিশ সূত্রে খবর, নাবালিকা কবুল করেছে, প্রেমিকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলেছিল বোন। তার পরেই জানাজানির ভয়ে প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে বোনকে খুন করে সে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

পটনা শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০২৩ ১৬:০৯
Share:

বোনকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার দিদি এবং তাঁর প্রেমিক। — প্রতীকী ছবি।

প্রেমিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দিদিকে ধরে ফেলেছিল ছোট বোন। ছোট বোনের মুখচাপা দিতে তাকেই খুন করার অভিযোগ দিদির বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ নয়, বোনের দেহ অ্যাসিড ছড়িয়ে পুড়িয়ে তার পর টুকরো টুকরো করে জঙ্গলে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আর এই কাজে তাকে সাহায্য করে প্রেমিক। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বৈশালী জেলায়।

Advertisement

সম্প্রতি জঙ্গল এলাকায় মানুষের দেহাংশ ছড়িয়ে রয়েছে বলে দেখতে পান কয়েক জন গ্রামবাসী। খবর যায় পুলিশে। পুলিশ দেহাংশগুলি একত্র করে বুঝতে পারে, তা মানুষেরই। তার পর এলাকায় খোঁজখবর নিতেই বেরিয়ে আসে ৯ বছরের একটি শিশু কিছু দিন হল নিখোঁজ। পরে দেহাংশের অটোপসি পরীক্ষায় বেরিয়ে আসে তা ৯ বছরের শিশুটিরই। তদন্তে নেমে পুলিশ শিশুর পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। জেরা করা হয় আশপাশের লোকজনকেও। কিন্তু কেউই সদুত্তর দিতে না পারায় পুলিশের সন্দেহ গিয়ে পড়ে ওই বাড়িরই এক নাবালিকার উপর। ১৩ বছরের নাবালিকাকে জেরা করতেই ভেঙে পড়ে সে।

পুলিশ সূত্রে খবর, নাবালিকা কবুল করেছে, প্রেমিকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলেছিল বোন। তার পরেই জানাজানির ভয়ে প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে বোনকে খুন করে সে। দেহ লুকিয়ে রাখা হয় বাড়ির পিছনের ঝোপে। কিন্তু দু’দিন পর থেকেই পচা গন্ধ বেরোতে শুরু করে। ফেঁসে যাওয়ার ভয়ে প্রেমিককে নিয়ে কিছুটা অ্যাসিড জোগাড় করে নাবালিকা। সেই অ্যাসিড মৃত বোনের শরীরে ছড়িয়ে দেহ পোড়ানো হয়। তার পর সেই পোড়া দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ছড়িয়ে দেয় পাশের জঙ্গলে।

Advertisement

বৈশালীর পুলিশ সুপার রবিরঞ্জন কুমার জানিয়েছেন, পুলিশ কুকুর এবং ফরেন্সিক দলের সদস্যেরা অকুস্থল পরিদর্শন করে যাওয়ার পরই তাঁদের সন্দেহ আরও দৃঢ় হয় যে, দেহাংশ স্থানীয় কারও। কিন্তু তিনি স্বীকার করে নেন, নাবালিকা যে এই কাণ্ড ঘটাতে পারে তা ঘূণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি। পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, নাবালিকা এবং মৃত শিশুর বাবা দিন মজুরির কাজ করেন। কিন্তু ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement