Bihar

গণধর্ষিতাকেই শাস্তি! বিহারে মাথা কামিয়ে ঘোরানো হল গ্রামে

ঘটনার ১১ দিন বাদে এই নাবালিকার মা পুলিশে অভিযোগ জানান। বয়ান নেওয়া হয় নিগৃহীতারও। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নামে পুলিশ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বিহার শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০১৯ ১৭:১৩
Share:

গণধর্ষণের পরেও রেহাই মেলেনি তার। মাথা কামিয়ে গোটা গ্রামে ঘোরানো হয়েছিল নাবালিকাকে। এই নৃশংস ঘটনার ১৩ দিন পরে বিহার থেকে ছ’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

Advertisement

বিহারের গয়া জেলায় গত ১৪ অগস্ট এক নাবালিকা ধর্ষিতা হয়। রাতের অন্ধকারে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল সে। সেখান থেকেই তাকে তুলে নিয়ে যায় একদল দুষ্কৃতী। স্থানীয় পঞ্চায়েতেই সারারাত ধরে চলে অত্যাচার। সকালে তার সংজ্ঞাহীন দেহটি দেখতে পায় গ্রামবাসীরা। প্রাণে বেঁচে যাওয়াটাই যেন অভিশাপ হয়েছিল তার। গ্রামে প্রভাবশালী বলে পরিচিত এই নাবালিকার পরিবার শুশ্রুষা তো করেইনি। বরং পঞ্চায়েতের তরফে নিদান দেওয়া হয় তার মাথা কামিয়ে দেওয়ার। গোটা গ্রামে ঘোরানোও হয় তাকে।

আরও পড়ুন: প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ, তিন দিন ধরে খোঁজ নেই তরুণীর!
আরও পড়ুন: বিধানসভায় পর্ন দেখা সেই নেতাই এখন কর্নাটকের উপ-মুখ্যমন্ত্রী, দলেই প্রশ্নের মুখে ইয়েদুরাপ্পা

Advertisement

ঘটনার ১১ দিন বাদে এই নাবালিকার মা পুলিশে অভিযোগ জানান। বয়ান নেওয়া হয় নিগৃহীতারও। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নামে পুলিশ। স্থানীয় মহিলা থানার অফিসার নিরঞ্জনা কুমারী সংবাদমাধ্যমকে এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘ওই নাবালিকার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ছ’জনকে গ্রেফতার করেছি’’।

ধর্ষকদের একজন, দেবল যাদবকে চিহ্নিত করতে পেরেছে এই নাবালিকা। ওই অভিযুক্ত এবং পঞ্চায়েতের পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। বিহার মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন দিলমণি মিশ্র গয়া পুলিশের সিনিয়র সুপারিন্টেন্ডেন্টের কাছে গোটা ঘটনার রিপোর্ট পেয়ে চেয়েছেন। নিগ্রহের ঘটনায় আগামী ২ সেপ্টেম্বর কমিশন সব পঞ্চায়েত সদস্যদের তলব করেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement