সাংবাদিক বৈঠকে চিরাগ। ছবি: পিটিআই।
সর্বসাকুল্যে মাত্র একটি আসন পেয়েছে দল। তার পরেও ‘যুদ্ধ’ জয়ের প্রশান্তি তাঁর চোখেমুখে। এর জেরে বিজেপি-র সঙ্গে তাঁর গোপন বোঝাপড়া নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে এ সবে ভ্রূক্ষেপ নেই লোক জনশক্তি পার্টি (জেএলপি)-র নেতা চিরাগ পাসোয়ানের। বরং নীতীশ কুমারের ভোট কেটে বিজেপি-র হাত শক্ত করতে পেরেছেন, তাতেই খুশি তিনি। তাঁর মন্তব্য,‘‘যে লক্ষ্য নিয়ে নেমেছিলাম, তা পূরণ করতে পেরেছি।’’
নির্বাচনের ফল নিয়ে পর্যালোচনা করতে বুধবার পটনায় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন চিরাগ। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘অন্য সব দলের মতো আমিও চেয়েছিলাম, দল বেশি আসন পাক। তবে এ বারের নির্বাচনে বিহারে বিজেপি-কে শক্তিশালী দল হিসেবে তুলে আনাই আমার লক্ষ্য ছিল। সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে পেরে আমরা খুশি।’’ প্রায় সব কেন্দ্রে দলের হেরে যাওয়া নিয়ে প্রশ্নের জবাবে চিরাগ বলেন, ‘‘হারের সংজ্ঞাটা ঠিক কী বলুন তো? আমাদের দলের সপক্ষে সমর্থন তো বেড়েইছে!’’
নির্বাচনের আগে মারা গিয়েছিলেন চিরাগের বাবা রামবিলাস পাসোয়ান। এই নির্বাচন তাই চিরাগের কাছে ছিল নিজেকে প্রমাণ করার কষ্টিপাথর। তিনি শুরুতেই জানিয়ে দেন, বিজেপি-র সঙ্গে কোনও মতবিরোধ নেই। তবে নীতীশকে মুখ্যমন্ত্রী করার বিষয়ে একেবারেই সায় নেই তাঁর। তাই নীতীশকে হারাতে এনডিএ-র বাইরে গিয়েই লড়বেন তিনি।
আরও পড়ুন: এক সপ্তাহ জেলে কাটানোর পর অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন অর্ণব গোস্বামী
সেই মতো বিহারে জেডিইউ-এর বিরুদ্ধে ১২২টি আসনে প্রার্থী দেন চিরাগ। বিজেপি-র বিরুদ্ধে প্রার্থী দেন মাত্র ১৫টি আসনে। তাই গণনা শুরু হওয়ার পর দল যখন ক্রমশ পিছিয়ে পড়েছে, সেই সময় চিরাগকেই দায়ী করেন জেডিইউ নেতৃত্ব। চিরাগ ভোট কেটেছেন বলেই ২০টি আসন জেডিইউ-এর হাতছাড়া হয়েছে বলে দাবি করেন তাঁরা। চিরাগের জন্য এনডিএ সব মিলিয়ে প্রায় ৪০টি আসন হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিজেপি-র সুশীলকুমার মোদীও।
আরও পড়ুন: নীতীশ কুমারই মুখ্যমন্ত্রী, প্রতিশ্রুতি পালন করবে বিজেপি, ঘোষণা সুশীল মোদীর
তার পরেও বিজেপি-র কাউকে এখনও পর্যন্ত চিরাগকে নিয়ে কড়া অবস্থান নিতে দেখা যায়নি। উল্টে চিরাগকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হতে পারে বলেও দিল্লি সূত্রে জানা গিয়েছে। এ নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও, নীতীশের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেওয়ার আগে বিষয়টি তিনি অমিত শাহকে জানিয়েছিলেন বলেও দাবি করেছেন চিরাগ। তাঁর দাবি, সব কিছু শোনার পর নীরব ছিলেন শাহ। তাঁকে সিদ্ধা্ন্ত থেকে পিছিয়ে আসার কথা বলেননি। তার পরেই এগনোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি।