ছবি- তেজস্বী যাদব। ফাইল চিত্র।
অধিকাংশ বুথ-ফেরত সমীক্ষা বলছে, বিহারের ভোটে মহাজোট এগিয়ে। শেষ পর্যন্ত ১০ নভেম্বর ভোটযন্ত্রে যা-ই ফলাফল দেখা যাক না কেন, দলীয় কর্মীদের সংযত থাকতে হবে বলে আজ টুইট-বার্তায় জানিয়ে দিল তেজস্বী যাদবের দল আরজেডি। স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে, শূন্যে গুলি চালিয়ে জয় উদ্যাপন বা ‘অসংযত আচরণ’ চলবে না।
আরজেডি-র তরফে টুইট করে এ দিন বলা হয়, ‘‘ভোটের ফল যা-ই হোক না কেন, সংযত, নম্র ও বিনীত ভাবে তা মেনে নিতে হবে। বেলাগাম বাজি পোড়ানো, শূন্যে গুলি চালানো এবং আমাদের প্রতিপক্ষ বা তাঁদের সমর্থকদের উদ্দেশে অভব্য আচরণ বরদাস্ত করা হবে না।’’
কাল, ৯ নভেম্বর মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদবের জন্মদিন। ভোট-পর্বে আরজেডি জমানার ‘জুলুম’ ও ‘জঙ্গলরাজের’ অভিযোগ বারবার তুলেছে বিজেপি-জেডিইউ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সেই অভিযোগ ঝেড়ে ফেলে নয়া ভাবমূর্তি তৈরির লক্ষ্যে এই নির্দেশ দিয়েছেন তেজস্বী।
আরও পডুন: অষ্টম বৈঠকেও ঐকমত্য অধরাই, কথা হবে ফের
আরও পডুন: নাম বদলালো জাহাজ মন্ত্রকের
আরজেডি-র বিহারের সভাপতি জগদানন্দ সিংহ বলেন, ‘‘দলের সমর্থকদের বিনম্র ভাবে ভোটের ফলকে গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। লালু প্রসাদ হলেন ‘আস্থা’-র কেন্দ্র, তেজস্বী রয়েছেন ‘ব্যবস্থা’-র কেন্দ্রবিন্দুতে।’’ আরজেডি মুখপাত্র মৃত্যুঞ্জয় সিংহের দাবি, বুথ-ফেরত সমীক্ষার চেয়েও বেশি আসন তাঁরা পাবেন বলে দলের নিজস্ব পর্যালোচনায় তাঁরা বুঝতে পেরেছেন।
পরশু সকাল ৮টা থেকে ভোটগণনা চলবে রাজ্যের ৩৮টি জেলার ৫৫টি গণনাকেন্দ্রে। করোনা পরিস্থিতিতে বাড়তি সতর্ক নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, গণনাকেন্দ্রে ঢুকতে হলে মাস্ক বাধ্যতামূলক। ৭৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় পুলিশবাহিনীর পাশাপাশি থাকছে সিসিটিভি-র নজরদারিও।