বাবার সঙ্গে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব।
বিয়ের প্রস্তাবের ঠেলায় সরকারি নম্বর এখন ম্যাট্রিমনিয়াল প্ল্যাটফর্ম হওয়ার জোগার! অভিযোগ জানানোর সরকারি নম্বরে বিয়ের প্রস্তাব পাঠালেন বিহারের হাজার হাজার তরুণী বা যুবতী বা তাঁদের অভিভাবকেরা!
বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী এবং লালুপ্রসাদ যাদবের ছোট ছেলে ২৬ বছরের তেজস্বী একই সঙ্গে ক্রিকেটারও। উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি একটি হোয়াটস অ্যাপ নম্বর দেন সরকারের তরফে। রাস্তাঘাট থেকে অন্য যে কোনও সমস্যা থাকলে তা এই নম্বরে জানাতে বলেন। ব্যস, গোলযোগের শুরু এখান থেকেই। এই নম্বরটিকে তাঁর ব্যক্তিগত নম্বর হিসেবে ভেবে বসেন অনেকেই। ফলে খারাপ রাস্তা নিয়ে অভিযোগ জানানের বদলে আসতে থাকে একের পর এক বিয়ের প্রস্তাব। যে সরকারি কর্মীদের দায়িত্ব ছিল অভাব অভিযোগ খতিয়ে দেখা, তাদের তো চক্ষু চড়ক গাছ। শুধু বিয়ে করার আবদারই নয়, অভিকাংশই নিজের নিজের উচ্চতা, শারীরিক গঠন, ত্বকের বর্ণনা, শিক্ষাগত যোগ্যতা সব কিছুই জানিয়েছেন।
এখনও পর্যন্ত ওই নম্বরে মোট ৪৭,০০০ হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ ঢুকেছে। যার মধ্যে মাত্র ৩০০০ মেসেজে রাস্তা মেরামতির আবেদন জানানো হয়। বাকি ৪৪,০০০ মেসেজেই ছিল বিয়ের আর্জি।
বিষয়টিকে খুব হালকা ভাবেই নিয়েছেন এই যুব মন্ত্রী। তিনি অবশ্য কারও প্রস্তাবেই সবুজ সঙ্কেত দেননি। মজার ছলে শুধু বলেন, ‘‘ভাগ্যিস এখনও সিঙ্গল রয়েছি। না হলে বিপদে পড়তাম।’’ এর সঙ্গে তাঁর আবেদন, নম্বরটি সঠিক কাজেই ব্যবহার করুন বিহারবাসী।
আরও পড়ুন: সিবিএসই ক্লাস টেনে বোর্ডের পরীক্ষা ফিরে আসতে পারে