হায়দরাবাদে বিহারের কংগ্রেস বিধায়করা। —ছবি সংগৃহীত।
বিধানসভায় আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে ঝাড়খণ্ডের মসনদে রইল চম্পই সোরেন সরকার। বিধায়ক ‘কেনাবেচা’ হতে পারে এই আশঙ্কা করেই ঝাড়খণ্ডের জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি-সিপিআইএমএল (লিবারেশন) জোট, তাদের বিধায়কদের হায়দরাবাদে উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিল। এ বার বিহারের কংগ্রেসও একই পথে হাঁটল। আস্থা ভোটের আগে দলের বিধায়কদের হায়দরাবাদে পাঠাল হাত শিবির।
দিন কয়েক আগেই নীতীশ কুমার ‘ইন্ডিয়া জোট’-এর হাত ছেড়ে এনডিএ জোটে ফিরে গিয়েছিলেন। ফের পাল্টে গিয়েছিল বিহারের রাজনৈতিক সমীকরণ। ‘জোট’ বদলের পর নীতীশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী, তাঁকে বিধানসভায় আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বিহারে হবে আস্থা ভোট। আর তার আগেই সর্তক বিরোধী শিবির।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, রবিবার রাতেই বিহার থেকে কংগ্রেস বিধায়করা তেলঙ্গনার হায়দরাবাদে গিয়েছেন। বিমানবন্দর থেকে বাসে চাপিয়ে শহরের উপকণ্ঠে একটি রিসর্টে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। বিহার কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অখিলেশ সিংহ নিশ্চিত করেছেন যে, দলের ১৬ জন বিধায়ক ইতিমধ্যেই হায়দরাবাদে গিয়েছেন। বাকিরাও শীঘ্রই যাবেন। জানা গিয়েছে, ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেখানেই থাকবেন তাঁরা।
বিধায়ক ‘কেনাবেচা’র মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়ার ঘটনা অতীতে কয়েকটি রাজ্যে ঘটেছে। মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে বিধায়ক ‘কেনাবেচা’র অভিযোগ উঠেছিল। যদিও বিহারের রাজনৈতিক পটভূমিকা অন্য। তবে আস্থা ভোটের আগে কংগ্রেস কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
বিধায়ক ‘কেনাবেচা’র এই আশঙ্কার প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছেন বিহারের প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত মোহন প্রকাশ। তিনি পাল্টা জেডি(ইউ)-কে নিশানা করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘জেডি(ইউ)-র বিধায়করাই চাপে রয়েছেন। তাই এই সব বিষয় নিয়ে মানুষের দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা করছেন।’’ তেলঙ্গনার রেবন্ত রেড্ডির সরকারকে শুভেচ্ছা জানাতেই এই সফর বলে দাবি কংগ্রেসের। জানা গিয়েছে, হায়দরাবাদে আসার আগে দলীয় বিধায়করা দিল্লিতে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খ়়ড়্গের সঙ্গে দেখা করেছেন।
অন্য দিকে, সোমবার ঝাড়খণ্ড বিধানসভার স্পিকার আস্থা ভোট গ্রহণ করেন। মুখ্যমন্ত্রী চম্পই সোরেনের সমর্থনে জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি-সিপিআইএমএল (লিবারেশন) জোটের ৪৭ জন বিধায়কই দাঁড়িয়ে সমর্থন জানান। বিপক্ষে পড়ে ২৯টি ভোট। যার ফলে ঝাড়খণ্ডে থেকে গেল চম্পই সোরেনের জোট সরকার।