(বাঁ দিকে) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন নীতি আয়োগের বৈঠকে শনিবার যোগ দিলেন না নীতীশ কুমার। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিহারের দুই উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধরি এবং বিজয়কুমার সিংহকে দিল্লির বৈঠকে পাঠিয়েছেন জেডিইউ (জনতা দল ইউনাইটেড) নেতা নীতীশ। ঘটনাচক্রে, বিহারের দুই উপমুখ্যমন্ত্রীই বিজেপির। কেন নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিলেন না নীতীশ, তা এখনও স্পষ্ট নয়। জনতা দলের তরফে জানানো হয়েছে, এর আগেও নীতি আয়োগের বৈঠকে অনুপস্থিত থেকেছেন নীতীশ।
শনিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে বসে নীতি আয়োগের বৈঠক। বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র সাত জন মুখ্যমন্ত্রী সেই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রের এনডিএ সরকারের শরিক হয়েও তাতে যোগ দেননি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ। সেই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। যদিও জেডিইউয়ের তরফে জানানো হয়েছে, এই প্রথম নয়, এর আগেও নীতি আয়োগের বৈঠকে অনুপস্থিত থেকেছেন নীতীশ। জেডিইউ মুখপাত্র নীরজ কুমার পিটিআইকে বলেছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যে নীতি আয়োগের বৈঠকে গেলেন না, তা কিন্তু প্রথম বার হল না। এর আগেও নীতি আয়োগের বৈঠকে অনুপস্থিত থেকেছেন নীতীশ। তখন বিহারের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রীরা। এ বার রাজ্যের দু’জন উপমুখ্যমন্ত্রীই বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছেন।’’ নীরজ আরও জানিয়েছেন, নীতি আয়োগের সদস্য চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিহারের। তাঁরাও এই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন।
নীতি আয়োগের চেয়ারম্যান হলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। দেশের সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের লেফ্টেন্যান্ট গভর্নর, কয়েক জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এর সদস্য। এ বারের বৈঠকে মূল ‘বিকশিত ভারত @২০৪৭’ নিয়েই হয়েছে আলোচনা। বিরোধী জোটের সাত জন মুখ্যমন্ত্রী যোগ দেননি বৈঠকে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে যোগ দিলেও বৈঠকের মাঝপথেই ওয়াক আউট করে বেরিয়ে আসেন। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে বলতে দেওয়া হয়নি। প্রতিবাদে তিনি বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন।