এ ভাবেই লাঠির ঘা খেয়ে রক্ত ঝরেছে বিহারের এক হবু শিক্ষকের। ছবি: সংগৃহীত।
হাতে ধরা জাতীয় পতাকা। সেটিকে ‘ঢাল’ করেই লাঠির মার থেকে নিজেকে বাঁচানোর প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। তবে কালো শার্ট এবং সাদা ট্রাউজারের সেই যুবকের মাথায় এসে পড়ছে একের পর এক লাঠির ঘা। বিহারের রাস্তায় চাকরির দাবিতে জমায়েত হয়ে এ ভাবেই লাঠির ঘা খেয়ে রক্ত ঝরেছে বিক্ষোভরত এক হবু শিক্ষকের। এই ঘটনায় অভিযোগের তির পটনার অতিরিক্ত জেলাশাসক কেকে সিংহের দিকে। গোটা ঘটনার তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিহার প্রশাসন।
সোমবার পটনার ওই ঘটনার ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল। কয়েক সেকেন্ডের ওই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, জাতীয় পতাকা হাতে রাস্তায় শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন এক যুবক। আচমকাই তাঁকে ঘিরে থাকা পুলিশকর্মীদের একজনের কাছ থেকে লাঠি কেড়ে নিয়ে তা দিয়ে ওই যুবককে বেদম পেটাতে শুরু করলেন এক আধিকারিক। জাতীয় পতাকা হাতে তুলেও নিজেকে লাঠির ঘা থেকে বাঁচাতে পারেননি ওই যুবক। লাঠির ঘায়ে তাঁর কানের পাশ দিয়ে রক্ত বেরোতে দেখা যায়। হতোদ্যম হয়ে ওই আধিকারিক সেখান থেকে চলে যান। এর পর ওই আহত যুবককে টেনেহিঁচড়ে সরিয়ে দেন এক পুলিশ আধিকারিক। গোটা ঘটনাটি অসংখ্য টিভি ক্যামেরা এবং মোবাইলে ধরা পড়েছে। অভিযোগ, অতিরিক্ত জেলাশাসক কেকে সিংহই ওই যুবককে লাঠিপেটা করেছেন।
সোমবার পটনায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন সেন্ট্রাল টিচার এলিজিবিলি টেস্ট (সিটেট) এবং বিহার টিচার এলিজিবিটি টেস্ট (বিটেট)-উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। ওই হবু শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিযোগ, তাঁদের নিয়োগে অযথা দেরি করা হচ্ছে। নিয়োগের দাবিতে বিহার সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে এলে অনেককেই এ ভাবে লাঠির ঘা খেতে হয়েছে বলেও অভিযোগ। জমায়েতকে ছত্রভঙ্গ করতে তাঁদের উপর লাঠিচার্জ ছাড়াও জলকামান চালানো হয় বলেও দাবি বিক্ষোভকারীদের।
এই ঘটনায় এক যুবককে এ ভাবে লাঠিপেটা করার পর তা নিয়ে তদন্ত কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছেন পটনার জেলাশাসক। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, গোটা ঘটনায় অসন্তুষ্ট বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।