বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। —ফাইল চিত্র
পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, পঞ্জাবের তালিকায় নাম লেখাল বিহারও। তবে আরও এক কদম এগিয়ে জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জি (এপিআর)-এর সঙ্গে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) বিরোধী প্রস্তাবও বিধানসভায় পাশ করল নীতীশ কুমার সরকার। প্রস্তাবের মূল বিষয়, রাজ্যে এনআরসি কার্যকর করা হবে না এবং বিহার সরকারের শর্ত মানলে তবেই এনপিআর কার্যকর করা হবে। এনপিআর-এর ফর্ম থেকে আপত্তিকর অংশগুলি বাদ দেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছেন বলে বিধানসভায় জানিয়েছেন নীতীশ।
মঙ্গলবার অধিবেশনের শুরু থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিহার বিধানসভা। সিএএ, এনআরসি, এনপিআর-এর উপর মুলতুবি প্রস্তাব আনেন আরজেডি নেতা তথা বিরোধী দলনেতা লালুপুত্র তেজস্বী যাদব। স্পিকার বিজয় কুমার চৌধুরী সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন। অন্য দিকে, অধিবেশনের শুরু থেকেই ‘কালা কানুন’ স্লোগান দিতে শুরু করেন আরজেডি-সহ বিরোধী দলের বিধায়করা।
তাতে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন বিজেপির মন্ত্রী নন্দকিশোর যাদব, বিজয় কুমার সিনহা-সহ বিধায়করা। তাঁরাও বিরোধীদের ওই স্লোগানের তীব্র প্রতিবাদ করে হই হট্টগোল শুরু করেন। প্রশ্ন তোলেন, ‘‘সংসদ কি তা হলে কালা কানুন পাশ করেছে?’’ আবার বিরোধীরাও মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে জবাব দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। দু’পক্ষের এই হইচইয়ের মধ্যেই অধিবেশন মুলতুবি হয়। তার পর ফের অধিবেশন শুরু হলে হই হট্টগোলের মধ্যেই জবাব দেন নীতীশ।
আরও পড়ুন: ‘প্রয়োজনে নামবে সেনা’, অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক শেষে বললেন কেজরীবাল
আরও পড়ুন: মৃত্যু বেড়ে ৭, আজও উত্তপ্ত দিল্লি, আগুন-ইট-১৪৪, চলল লুঠপাটও
নীতীশ কুমার আগেই জানিয়েছিলেন, তাঁর রাজ্যে এনআরসি কার্যকর করতে দেবেন না। পাশাপাশি এনপিআর-এ্রর আপত্তিকর অংশগুলি বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। আজ সেই দুই প্রস্তাবই পাশ হয়েছে বিধানসভায়। এনপিআর-এর ক্ষেত্রে ২০১০ সালের যে ফর্ম ছিল, সেই ফর্মেই সামান্য সংশোধন করে কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন নীতীশ। মঙ্গলবার বিধানসভায় তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যের এই অবস্থান জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠিও লিখেছেন।
পঞ্জাব, তামিলনাড়ু ও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় এনপিআর বিরোধী প্রস্তাব আগেই পাশ করেছে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলি। তবে এই তিন রাজ্যেই এনপিআর কার্যকর করা হবে না বলে প্রস্তাব পাশ হয়েছে। নীতীশ তার সঙ্গে এনআরসি-ও যোগ করে দিলেন।