বিহার ভোটের সময়েই সারা দেশের ৬৫ কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে, জানাল কমিশন। —ফাইল চিত্র
বিহার নির্বাচনের সঙ্গেই সারা দেশে মোট ৬৫টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। আজ শুক্রবার এ নিয়ে বৈঠকের পর এ কথা জানিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বিহার বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৯ নভেম্বর। তার আগেই নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। ফলে উপনির্বাচনও এই সময়ের মধ্যেই হয়ে যাবে। নির্দিষ্ট সময়েই উপনির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। এই ঘোষণার ফলে এ রাজ্যেও উপনির্বাচনের দামামা বেজে গেল। উপনির্বাচন হতে পারে ফালাকাটা ও হেমতাবাদ বিধানসভা কেন্দ্রে।
সারা দেশে এই মুহূর্তে মোট ৬৪টি বিধানসভা কেন্দ্র এবং একটি লোকসভা কেন্দ্র উপনির্বাচনের মুখে রয়েছে। কোনও কেন্দ্রে উপনির্বাচন আসন্ন হলে তার ছ’মাসের মধ্যে ভোট করাতে হয়। কিন্তু এ বছর করোনাভাইরাসের সংক্রমণের জেরে অনেক কেন্দ্রে ভোট করানো সম্ভব হয়নি। এ বার বিহার বিধানসভার ভোটের সঙ্গেই সেই সব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার এই উপনির্বাচন সংক্রান্ত বৈঠকের পর কমিশনের তরফে প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, বিহারের বিধানসভা নির্বাচন এ বছরের ২৯ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে। প্রায় একই সময়ে ৬৫টি কেন্দ্রের উপনির্বাচনও করা হবে।
তবে বেশ কয়েকটি রাজ্য থেকে এখন উপনির্বাচন না করানোর আর্জি জমা পড়েছিল কমিশনে। সেগুলি খতিয়ে দেখছে কমিশন। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘‘কয়েকটি রাজ্য বন্যা, করোনাভাইরাসের কারণে উপনির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিল। তবে ওই সব রাজ্যের মুখ্যসচিব ও মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের থেকে রিপোর্ট নেওয়া হয়েছে।’’ বিবৃতিতে এটাও জানানো হয়েছে, ‘‘বিহারের বিধানসভা নির্বাচন এবং উপনির্বাচনগুলি এক সঙ্গে করানোর ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ হল কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন এবং ভোটগ্রহণের পরিকাঠামো তৈরি করা।’’
আরও পড়ুন: পরীক্ষা নির্ধারিত দিনেই, জেইই-নিট স্থগিতের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে
উপনির্বাচন আসন্ন, এমন ৬৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে এ রাজ্যেও দু’টি কেন্দ্র রয়েছে। ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে ফালাকাটার তৃণমূল বিধায়ক অনীল অধিকারীর মৃত্যু হয়েছিল গত বছর ৩১ অক্টোবর। সেই হিসেবে ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার কথা ছিল ৩১ এপ্রিলের মধ্যে। অন্য দিকে, হেমতাবাদ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল এ বছরের ১৩ জুলাই। এই দু’টি কেন্দ্রেও বিহার বিধানসভার ভোটের সময়েই উপনির্বাচন হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
আরও পড়ুন: ‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় কিছুটা উত্তেজনা রয়েছে’, বলছেন সেনাপ্রধান
করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেও ভোটগ্রহণ হওয়ায় একগুচ্ছ গাইডলাইন আগেই প্রকাশ করেছিল নির্বাচন কমিশন। যেমন, মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া করোনা আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে বা হাসপাতালে ভর্তি থাকা ভোটারদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করবে কমিশন। শুক্রবার একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘‘বিহার ভোট নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করার জন্য কমিশন, রাজ্য এবং জেলা স্তরে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। ভোটারদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের বিষয়টিই কমিশনের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে।’’