সমস্তিপুরে নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র
বিহার ভোটে বিজেপি-র সাফল্যে কি বড় ভূমিকা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী? ভোটগণনার প্রবণতা অনুযায়ী বিহারে একক বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার পথে বিজেপি। আর এই ফলের দিকে তাকিয়েই বিজেপি-র দাবি, নরেন্দ্র মোদী যে সব কেন্দ্রে নির্বাচনী সভা করেছেন, তার প্রায় সব ক’টিতেই জিততে চলেছেন বিজেপি প্রার্থীরা।
বিহারের ভোটগণনার শুরুর দিকে ইউপিএ জোট থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা ভারী হতে থাকে বিজেপি-জেডিইউ জোটের। কিন্তু উল্লেখযোগ্য ভাবে ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের নিরিখে অনেক ভাল ফল বিজেপি-র। দলীয় নেতৃত্বের দাবি, মোদী যে ভাবে বিহারে পরের পর নির্বাচনী জনসভা করেছেন, তার ছাপ পড়েছে ভোটবাক্সে।
প্রচার পর্বে মোদী সভা করেছিলেন সাসারাম, গয়া, ভাগলপুর, দ্বারভাঙা, মুজফ্ফরপুর, পটনা, ছাপড়া, পূর্ব চম্পারণ, সমস্তিপুর, পশ্চিম চম্পারণ, সহর্ষ এবং ফরবেসগঞ্জ বিধানসভা এলাকায়। ভোটগণনার প্রবণতায় এর মধ্যে অধিকাংশ কেন্দ্রেই এগিয়ে বিজেপি প্রার্থীরা। যেমন দ্বারভাঙার চারটির মধ্যে তিনটি কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থীরা। একটিতে জিতেছেন আরজেডি প্রার্থী। গয়া কেন্দ্রে প্রেম কুমার, পটনায় নন্দকিশোর যাদব, মুজফ্ফরপুরে সুরেশকুমার শর্মা, সহর্ষ কেন্দ্রে অলোকরঞ্জনের মতো প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: লাইভ: বিহারে একক বৃহত্তম দল হতে চলেছে বিজেপি, নীতীশের দল তিন নম্বরে
আরও পড়ুন: বিহার ভোটের চূড়ান্ত ফল আসতে গড়াবে মধ্য রাত, জানাল নির্বাচন কমিশন
বিহারে জেডিইউ-বিজেপি জোটে নির্ণায়ক শক্তি ছিলেন মূলত নীতীশ কুমার। কিন্তু এ বারের ভোটে এখনও পর্যন্ত সেই প্রবণতায় কার্যত পরিবর্তনই হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই কার্যত একক বৃহত্তম দল হয়ে ওঠার পথে বিজেপি। অন্য দিকে নীতীশের জেডিইউ-এর আসন সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। আর এই সাফল্যের কৃতিত্ব মোদীকেই দিতে চাইছেন বিহারের বিজেপি নেতারা। দলের বিহারের নেত্রী সঞ্জু বর্মা একটি চ্যানেলে বলেন, ভোটে এই ফলের কৃতিত্ব জে পি নড্ডা, অমিত শাহ থেকে শুরু করে দলের সব নেতা-কর্মীর। কিন্তু সবার উপরে যিনি রয়েছেন, তিনি নরেন্দ্র মোদী। তিনি ছাড়া এই ফল কখনওই সম্ভব হত না।’’