সঞ্জয় ও তেজস্বী। ছবি সৌজন্য টুইটার।
ক্রিকেট খেলাটা তাঁর পক্ষে বেশি দূর টেনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। এটা উপলব্ধি করার পরই সব গুটিয়ে নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন বছর তেইশের তেজস্বী যাদব। তখন ২০১৩ সাল। আর সাত-পাঁচ ভাবেননি। নাম লিখিয়ে ফেলেছিলেন বাবার (লালুপ্রসাদ যাদব) তৈরি রাজনৈতিক দলে। তখনই পাশে পেয়ে গিয়েছিলেন তাঁর থেকে বয়সে পাঁচ বছরের বড় সঞ্জয় যাদবকে। এই সঞ্জয়ের হাত ধরেই আজ তেজস্বীর রাজনৈতিক কেরিয়ার অনেক ক্ষুরধার হয়েছে বলেই মত তেজস্বীর ঘনিষ্ঠদের।
পরিবারের বাইরের হলেও ধীরে ধীরে লালুপ্রসাদ যাদব পরিবারের এক জন সদস্য হয়ে উঠেছিলেন বছর ছত্রিশের সঞ্জয়। স্বল্পভাষী, কিন্তু রাজনীতিতে অত্যন্ত ক্ষুরধার বুদ্ধিসম্পন্ন সঞ্জয়ের পড়াশোনা হরিয়ানায়। সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। বাবা পেশায় সুবেদার। ২০১৩ পর্যন্ত গুরুগ্রামের একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় টিম ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। করেছেন এমবিএ।
এই সঞ্জয়ই পরে হয়ে উঠেছেন তেজস্বীর রাজনীতি জীবনের প্রথপ্রদর্শক। তেজস্বীও তাঁকে বড় ভাইয়ের মতো দেখেন। লালুপ্রসাদ যাদবের ছত্রছায়া থেকে বার করে নতুন কৌশল নিয়ে তেজস্বীকে এগনোর পথ দেখিয়েছেন এই সঞ্জয়।
আরও পড়ুন: নীতীশ কুমারই মুখ্যমন্ত্রী, প্রতিশ্রুতি পালন করবে বিজেপি, ঘোষণা সুশীল মোদীর
এ বারের ভোটের রণনীতি তৈরি করা, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরেজডি)-কে আরও সক্রিয় করে তোলা, দলে প্রবীণ-নবীন প্রজন্মের দূরত্ব ঘুচিয়ে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসে দলকে আরও মজবুত করা— এ সব কিছুর পিছনেই ছিলেন সঞ্জয়। গত ১৮ মাস ধরে তেজস্বীর ছায়াসঙ্গী হিসেবে কাজ করে গিয়েছেন তিনি। বিহারে ক্ষমতায় না এলেও আরজেডি এবং তেজস্বী যে ফল করেছে তার নেপথ্যে ছিলেন এই সঞ্জয়।