চলছে ভোটগণনা। ছবি: পিটিআই।
বুথফেরত সমীক্ষার হিসেব উল্টে বিহারে একক দল হিসেবে উঠে আসছে বিজেপি। তবে প্রতিপক্ষের সঙ্গে এখনও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে সেখানে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৬ শতাংশ ভোটগণনা হয়েছে বিহারে। এর মধ্যে ১৭০ আসনে শীর্ষে থাকা দুই দলের মধ্যে ভোটের ব্যবধান ২ হাজারেরও কম। কোথাও কোথাও আবার এই ব্যবধান ৫০০-রও কমে এসে ঠেকেছে।
এই ১৭০টি আসনের মধ্যে ৯৯টিতে দুই শীর্ষ দলের মধ্যে ভোটের ব্যবধান ২ হাজারেরও কম। দুই শীর্ষ দলের মধ্যে ভোটের ব্যবধান ১ হাজারেরও কম ৫৪টি আসনে। আবার ২৮টি আসনে ভোটের ব্যবধান ৫০০-রও কম। এখনও পর্যন্ত বিহারে ৬ রাউন্ড গণনা সম্পূর্ণ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যবধান আরও ওঠানামা করবে। তাই শেষ মুহূর্তে এই আসনগুলিই ভোটের ফল নির্ধারণে নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তাই ভোটের ফল সম্পূর্ণ না বেরনো পর্যন্ত সব দলই সতর্ক রয়েছে।
যে যে নির্বাচনী কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলির মধ্যে ভোটের ব্যবধান উল্লেখযোগ্য ভাবে কম রয়েছে, তার মধ্যে কয়েকটি হল— আলাউলি (১১৭৭), আমুর (৪০৯), আরা (১৬৩০), ঔরঙ্গাবাদ (৬২২), বাহাদুরগঞ্জ (৭৯৭), বরাউলি (৩২৭), বাহরিয়া (৬৫০), দিনারা (১৯৪), একমা (৭৩২), (কল্যাণপুর (৪৩৪), মধুবন (৭৮১), শেখপুরা (২৪৪) এবং বেনিপুর (১৭২৯)। ছাপরায় আবার আরজেডি এবং বিজেপির মধ্যে ভোটের ফারাক ৬। বিহারিগঞ্জে কংগ্রেস ও জেডি(ইউ) প্রার্থীর মধ্যে ভোটের ফারাক ৮। কসবায় এলজেপি এবং কংগ্রেস প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটে ফারাক ৫। মথুরায় জেডি(ইউ) এবং আরজেডি প্রার্থীর মধ্যে ভোটের ব্যবধান ১০। বৈকুণ্ঠপুরে বিজেপির মিথিলেশ তিওয়ারি এগিয়ে থাকলেও, দ্বিতীয় স্থানে থাকা নির্দল প্রার্থী মনজিত কুমার সিংহর প্রাপ্ত ভোটে ফারাক মাত্র ২২।
এ দিন দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোটগণনার যে হিসেব পাওয়া গিয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, ২৪৩টি আসনের মধ্যে ১২৭টিতে এগিয়ে রয়েছে এনডিএ। এর মধ্যে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৭৩টি আসনে। নীতীশ কুমারের সংযুক্ত জনতা দল জেডি(ইউ) ৪৭টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। ৭টি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিকাশশীল ইনসান পার্টি (ভিআইপি)।
আরও পড়ুন: লাইভ: বিহারে একক বৃহত্তম দল হতে চলেছে বিজেপি, নীতীশের দল তিন নম্বরে
আরও পড়ুন: লিটমাস টেস্টে পাশ শিবরাজ! মধ্যপ্রদেশে বাঁচল কুর্সি, উপনির্বাচনে এগিয়ে বিজেপি