arvind kejriwal

Arvind Kejriwal: ‘সবচেয়ে বড় ধ্বংস’, উচ্ছেদ নিয়ে কেজরী

বিজেপি পরিচারিত পুরসভা যে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে তা ‘স্বাধীনতার পরে সবচেয়ে বড় ধ্বংসাত্মক’ ঘটনা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২২ ০৭:০৩
Share:

ফাইল ছবি

দিল্লি পুরসভার উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি(আপ)-র জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরীওয়াল। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি পরিচারিত পুরসভা যে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে তা ‘স্বাধীনতার পরে সবচেয়ে বড় ধ্বংসাত্মক’ ঘটনা। এই উচ্ছেদ অভিযানে ৬৩ লক্ষ মানুষ গৃহহীন হয়েছেন বলেও অভিযোগ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর।

পুরসভা ক্ষমতার অপব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন আপের জাতীয় আহ্বায়ক। উচ্ছেদ অভিযানে পুরসভার নৈতিক, আইনি এবং সাংবিধানিক এক্তিয়ার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
দিল্লির জহাঙ্গিরপুরী-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে বিজেপি পরিচালিত পুরসভা। যা নিয়ে বিস্তর প্রতিবাদ, সমালোচনাও হয়। কিন্তু এত দিন নীরবই ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীওয়াল। তাঁর নীরবতা নিয়ে সরব হয়েছিলেন অনেকেই। শেষে আজ উচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘দিল্লি নগরী পরিকল্পনামাফিক গড়ে ওঠেনি। বলা হয়ে থাকে দিল্লির ৮০ শতাংশের বেশি অংশই বেআইনি এবং জবরদখল। তা হলে আপনারা ৮০ শতাংশ উচ্ছেদ করবেন?’’ আজ আপ বিধায়কদের উদ্দেশে ভার্চুয়াল বক্তৃতা দেন কেজরী। তাঁর দাবি, অবিলম্বে দিল্লি পুরসভার নির্বাচন হোক। যাতে নতুন পুরসভা উচ্ছেদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
এর পরেই বিজেপিকে আক্রমণ করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বুলডোজ়ার চালিয়ে দোকান ও ঘর ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ৬৩ লক্ষ মানুষ ঘর হারিয়েছেন। স্বাধীনতার পরে এত বড় ধ্বংস আর কখনও হয়নি। এ জিনিস কেউ বরদাস্ত করবে না।’’ তাঁর অভিযোগ, বর্তমান পুর বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার দু’দিন আগে দোকান এবং বাড়িগুলির উপর বুলডোজ়ার চালানো হয়েছে। দ্রুত নির্বাচন করে নতুন পুর বোর্ড গঠন করা হোক। তাঁর প্রতিশ্রুতি, আপ যদি পুর বোর্ড গঠন করে, তা হলে অনু্মোদনহীন কলোনিগুলিকে অনুমোদন দেবে এবং যাঁরা রাস্তা জবরদখল করে বাড়ি তৈরি করেছেন, তাঁদের সেখান থেকে সরে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে।
কেজরীর অভিযোগ, ১৫ বছর ধরে দিল্লি পুরসভা বিজেপির দখলে। তা হলে এত জবরদখলকারী এল কোথা থেকে। ঝুপড়িগুলিতে বুলডোজ়ার চালানোকে পুরসভার ‘গুন্ডামি’ এবং ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’ বলে উল্লেখ করেছেন কেজরীওয়াল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement