সীতারাম ইয়েচুরি।
কাশ্মীরে গ্রেফতার হওয়া সিপিএম নেতা ইউসুফ তারিগামির সঙ্গে দেখা করতে শ্রীনগরে যেতে পারবেন সীতারাম ইয়েচুরি। তাঁর স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজখবর করতে পারবেন। সুপ্রিম কোর্ট এই অনুমতি দিল বুধবার। তবে এও জানিয়ে দিল, ইয়েচুরি ওখানে গিয়ে যদি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন, সেটা শীর্ষ আদালতের রায়ের খেলাপ বলে ধরা হবে।
আজ প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ সীতারাম ইয়েচুরিকে শ্রীনগরে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। কাশ্মীর থেকে ফিরে সীতারামকে হলফনামা দিয়ে তাঁর সফরের বিষয়ে জানাতে হবে। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তারিগামিকে কোথায় কী ভাবে আটক করে রাখা হয়েছে, দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ইয়েচুরি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে হেবিয়াস করপাস মামলা করেছিলেন। আজ সুপ্রিম কোর্টে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, ‘‘তারিগামি জেড সিকিউরিটি পান।’’ প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘জেড বা জে় প্লাস যা-ই পান না কেন, যদি কোনও নাগরিক তাঁর দলের সহকর্মীর সঙ্গে দেখা করতে চান, আপনি তাতে নাক গলাতে পারেন না। উনি নিজেই যাবেন। আপনারা এসকর্ট করবেন না।’’
সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পরে ইয়েচুরি জানান, তিনি বৃহস্পতিবারই শ্রীনগর যাচ্ছেন। তা শুনে জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক আজ শ্রীনগরে বলেন, ‘‘ইয়েচুরি যেন আদালতের শর্ত পালন করেন। তারিগামির সঙ্গে দেখা করেই বাড়ি ফিরে যান।’’ সদ্য আইন পাশ করা মহম্মদ আলিম সৈয়দও একটি মামলা করেছিলেন। তাঁকেও অনন্তনাগে গিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দিয়েছে। ফিরে এসে তাঁকেও আদালতে জানাতে হবে।
তারিগামি-সহ কাশ্মীরের প্রায় সব রাজনৈতিক নেতাই এখন হয় গৃহবন্দি, নয় গ্রেফতার। আড়াই দশক ধরে সিপিএমের বিধায়ক তারিগামির খোঁজ করতে এর আগে ইয়েচুরি এবং সিপিআই নেতা ডি রাজা শ্রীনগরে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠানো হয়। এর পর রাহুল গাঁধীর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলেও ইয়েচুরি ছিলেন। সে বারও বিমানবন্দর থেকে ফেরত আসতে হয়। দু’বারই ইয়েচুরি তারিগামির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের এসএসপি (নিরাপত্তা) যেন ইয়েচুরিকে তারিগামির কাছে যেতে, প্রয়োজনে তাঁকে খুঁজে বের করতে সাহায্য করেন। ইয়েচুরি বলেন, ‘‘এর আগে শ্রীনগর বিমানবন্দরে ধাক্কাধাক্কিতে পায়ে চোট লেগেছে বলে আমি একজন সহকারীকে সঙ্গে নিয়ে যাব বলে রাজ্যপালের কাছে অনুমতি চেয়েছি।’’