National News

‘কাশ্মীর কবেই বা পাকিস্তানের ছিল? এত কান্নাকাটি কেন ইসলামাবাদের?’ কটাক্ষ রাজনাথের

লাদাখের লেহ-তে বৃহস্পতিবার একটি অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৯ ১৩:৫৪
Share:

প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। ছবি- পিটিআই।

কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান কী বলল না বলল, তাতে যে কিছু যায় আসে না, তা ফের বুঝিয়ে দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। আক্রমণাত্মক সুরে জানিয়ে দিলেন, কাশ্মীর কোনও দিনই পাকিস্তানের ছিল না। জম্মু-কাশ্মীর বরাবরই ভারতের অংশ। তাই কাশ্মীর ইস্যুতে হস্তক্ষেপের কো‌নও অধিকারও ‌নেই পাকিস্তানের।

Advertisement

লাদাখের লেহ-তে বৃহস্পতিবার একটি অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘আমি পাকিস্তানের কাছে প্রশ্ন করতে চাই, জম্মু ও কাশ্মীর কবেই বা পাকিস্তানের ছিল যে আপনারা এ নিয়ে কান্নাকাটি করেন?’’ ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ডিআরডিও) একটি অনুষ্ঠানে এ দিন রাজনাথ এও বলেন, ‘‘পাকিস্তান তৈরি হওয়ার পর থেকেই আমরা তার পরিচয়কে সম্মান করেছি। সেখানকার মানুষকে মর্যাদা দিয়েছি। কাশ্মীর সব সময়ই ভারতের অংশ। পাকিস্তানের সঙ্গে প্রতিবেশীসুলভ সুসম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী ভারত। কিন্তু তার জন্য ভারতে সন্ত্রাস ছড়ানো বন্ধ করতে হবে পাকিস্তানকে।’’

সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করে জম্মু ও কাশ্মীরের ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রত্যাহার করে তাকে দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাঙার বিল সংসদে পাশ হওয়ার পর থেকেই তার বিরোধিতায় সরব পাকিস্তান কাশ্মীর ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সমর্থন জোগাড়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রপুঞ্জে এ ব্যাপারে আলোচনার সময় বেশির ভাগ দেশই একমত হয়েছে যে, সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল ও জম্মু ও কাশ্মীরের ‘বিশেষ সুবিধা’ তুলে নিয়ে রাজ্যটিকে দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভেঙে দেওয়ার বিষয়টি একেবারেই ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয়।

Advertisement

তার পরেও রাষ্ট্রপুঞ্জের ৪৭ সদস্যের মানবাধিকার পরিষদে ভারতবিরোধী প্রস্তাব আনা ও তা পাশ করানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইসলামাবাদ।

আরও পড়ুন- কাশ্মীরে উন্নয়ন চান প্রধানমন্ত্রী, রাশ টানার চেষ্টাও বহাল​

আরও পড়ুন- জম্মুর ৫ জেলায় চালু হল মোবাইল পরিষেবা, কাশ্মীর যাচ্ছেন ইয়েচুরি​

তারই প্রেক্ষিতে রাজনাথ বলেছেন, ‘‘মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এস্পার আমাকে টেলিফোনে জানিয়েছেন, সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের ‘বিশেষ সুবিধা’ তুলে নেওয়ার বিষয়টি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। শুধু তাই নয়, এই ইস্যুতে পাকিস্তানের পাশে কোনও দেশ নেই।’’

ও দিকে, দিনে দিনে জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে বলে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে মঙ্গলবার জানানো হয়েছে। সেখানকার যে সব এলাকা থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে, সেই সব এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও শীঘ্রই খোলা হবে বলে জানানো হয়েছে।

জম্মু ও কাশ্মীরের তথ্য ও জনসংযোগ দফতরের অধিকর্তা সইদ শেহরিশ আসগর বলেছেন, “প্রতি দিনই কাশ্মীরের পরিস্থিতি ভাল হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ৩,০৩৭টি প্রাথমিক এবং ৭৭৪টি মাধ্যমিক স্কুল সেখানে ফের চালু হয়েছে। হাইস্কুলগুলিও খুলতে চলেছে। এলাকাগুলিতে দোকান খোলার জন্য ব্যবসায়ীদের অনুমতিও দেওয়া হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement