কাশ্মীরী সঙ্গীতশিল্পী আভা হানজুরা। - ফাইল ছবি।
বহু বহু দিন পর এ বার ফের ঘরে ফেরার আশা উকিঝুঁকি মারছে সঙ্গীতশিল্পী আভা হানজুরার মনে। সেই কবে, নয়ের দশকে কাশ্মীরের বাড়িঘর ছেড়েছিলেন আভা। ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। হাজার হাজার কাশ্মীরী পণ্ডিতের মতো।
তিন-তিনটে দশক ধরে পুরনো বাড়িঘর, স্বজন, বান্ধবদের ছেড়ে দূরে দূরে থাকতে বাধ্য হয়েছেন আভা হানজুরা। এখনও রয়েছেন বেঙ্গালুরুতে। মা, বাবা, একেবারে কাছের ক’জন ছাড়া কাশ্মীরে তাঁর পুরনো পাড়ার প্রতিবেশীরা তাঁর গলা এখনও শোনেন শুধু গানে। টেলিফোনেও কথা হয় না বিশেষ। অতীত মনে পড়ে যায় যে! কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে?
সেই আভা কিন্তু খুশি হয়েছেন কেন্দ্রের গত কালের ‘অমিতবিক্রমী’ পদক্ষেপে। ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন তা হলে কি বহু বহু দিন পর এ বার সত্যিসত্যিই ঘরে ফেরা যাবে? গত কাল সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আচমকা ঘোষণায় প্রথমে কিছুটা অবাকই হয়ে গিয়েছিলেন আভা। ঠিক শুনছেন তো? নিজেকেই করেছিলেন প্রশ্নটা। ধাতস্থ হওয়ার পর খুশি খুশি মুখে আভার প্রতিক্রিয়া ‘‘এটা এমন একটা খবর যা আশাই করিনি! আশায় বুক বাঁধতে চাই আমি। যাঁরা এই বিষয়টায় জড়িয়ে রয়েছেন আমার আশা এই পদক্ষেপে তাঁদের সকলের জীবনই উজ্জ্বলতর হবে। তাঁদের আরও ভাল হবে।’’
গত কাল সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আচমকা ঘোষণায় প্রথমে কিছুটা অবাকই হয়ে গিয়েছিলেন আভা। ঠিক শুনছেন তো? নিজেকেই করেছিলেন প্রশ্নটা। ধাতস্থ হওয়ার পর খুশি খুশি মুখে আভার প্রতিক্রিয়া ‘‘এটা এমন একটা খবর যা আশাই করিনি! আশায় বুক বাঁধতে চাই আমি। যাঁরা এই বিষয়টায় জড়িয়ে রয়েছেন আমার আশা এই পদক্ষেপে তাঁদের সকলের জীবনই উজ্জ্বলতর হবে। তাঁদের আরও ভাল হবে।’’
সেই আভা কিন্তু খুশি হয়েছেন কেন্দ্রের গত কালের ‘অমিতবিক্রমী’ পদক্ষেপে। ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন তা হলে কি বহু বহু দিন পর এ বার সত্যিসত্যিই ঘরে ফেরা যাবে?
আরও পড়ুন- ৩৭০ রদ নিয়ে মুখ খুললেন মমতা, ওমর-মেহবুবারা জঙ্গি নন, মুক্তির দাবি তৃণমূল নেত্রীর
আরও পড়ুন- ৩৭০-এর পক্ষে না বিপক্ষে? চ্যালেঞ্জ শাহের, ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে, পাল্টা তোপ কংগ্রেসের
আরও একটি টুইটে আভা আশাপ্রকাশ করেছেন, ‘‘আমাদের ঘরে ফেরার রাস্তার বাধাটাধাগুলি এ বার হয়তো সরে যাবে। আমরা হয়তো বাড়ির লোকজন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে আবার মিলতে পারব। মিশতে পারব। যে সব কাশ্মীরীরা দীর্ঘ দিন ধরে ঘরবাড়ি ছেড়ে দূরে দূরে কাটিয়েছেন, এখনও রয়েছেন, তাঁরাও হয়তো একই স্বপ্ন দেখছেন।’’
গত কালের সরকারি পদক্ষেপের খবর পেয়ে আভার মনে পড়ে গিয়েছে সেই তিন দশক আগে শ্রীনগরে তাঁর প্রথম জলসার কথা। বললেন, ‘‘সেটাই আমার জীবনের সেরা মুহূর্ত। প্রায় হাজার তিনেক মানুষ এসেছিলেন।’’
আভার মনে পড়ে যাচ্ছে কাশ্মীরে তাঁর সেই পুরনো বাড়িটার কথা। বললেন, ‘‘ডাক বিভাগে কাজ করতেন বাবা। সারা জীবন চাকরি করে যা জমিয়েছিলেন, তা দিয়ে একটা বাড়ি বানিয়েছিলেন। এ বার হয়তো সেই বাড়িটায় আবার পা দিতে পারব।’’