রাহুল গাঁধী। ছবি: পিটিআই।
সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পর, সরগরম ভারত-পাকিস্তান কূটনীতি। বার বার ব্যর্থ হলেও, বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও শোরগোল ফেলে দেওয়ার চেষ্টা এখনও চালিয়ে যাচ্ছে ইসলামাবাদ। কাশ্মীর প্রশ্নে প্রতিবেশী দেশের এমন ‘গাত্রদাহ’ নিয়ে এ বার মুখ খুললেন রাহুল গাঁধী। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখানে পাকিস্তান বা অন্য কোনও রাষ্ট্রের নাক গলানোর অবকাশ নেই। সংবিধানের ওই বিশেষ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের পদ্ধতি নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে কংগ্রেস। তা নিয়ে সংসদের ভিতরে ও বাইরে লড়াইও চলছে নিরন্তর। তার মধ্যেই প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির এমন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক শিবিরের একাংশ।
টুইটে রাহুল লিখেছেন, ‘অনেক ক্ষেত্রেই আমি সরকারের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করি। কিন্তু একটা ব্যাপার স্পষ্ট করে দিই, কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। পাকিস্তান বা অন্য রাষ্ট্রের এখানে নাক গলানোর কোনও জায়গাই নেই।’ এখানেই থামেননি রাহুল। উপত্যকায় হিংসার জন্য পাকিস্তানকেই দায়ী করেছেন তিনি। লিখেছেন, ‘জম্মু-কাশ্মীরে হিংসা রয়েছে। তার কারণ পাকিস্তান সেই হিংসায় উস্কানি ও মদত দিচ্ছে। পাকিস্তান গোটা বিশ্বেই সন্ত্রাসের প্রধান মদতদাতা বলে পরিচিত।’
সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পর, শনিবার শ্রীনগরের উদ্দেশে রওনা দেন রাহুল। কিন্তু, তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। ফিরিয়ে দেওয়া হয় বিমানবন্দর থেকেই। তা নিয়ে কেন্দ্র সরকারের তীব্র সমালোচনাও করেন তিনি। তার কয়েক দিনের মধ্যেই এই টুইট। রাহুলের টুইটের সমর্থনে পাল্টা টুইট করেন শশী তারুরও। তিনি লেখেন, ‘জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, এটাই জোর দিয়ে বলে আসছে জাতীয় কংগ্রেস। যে ভাবে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করা হয়েছে আমরা তার বিরোধিতা করেছি। কারণ, এটা সংবিধান ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে জোর ধাক্কা দিয়েছে। আমাদের এই অবস্থানে অবশ্য পাকিস্তানের স্বস্তির কোনও জায়গা নেই।’
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা কমানো জি-৭-এর ‘সাফল্য’: হোয়াইট হাউস
রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের মতে, সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার নিয়ে জাতীয়তাবাদের তাস খেলেছে মোদী সরকার। স্বাভাবিক ভাবেই তার ফসলও ঘরে তুলতে চাইছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু, ওই নির্দিষ্ট অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের পদ্ধতি নিয়ে বিরোধিতার সুর চড়াচ্ছে কংগ্রেস। ৩৭০ বিলোপের পর এর বিরোধিতায় সামিল রাজনৈতিক দলগুলিকে এক আসনে বসিয়েই আক্রমণ শানাচ্ছে বিজেপি। তাই এ নিয়ে কংগ্রেসের অবস্থান কী, তা স্পষ্ট করে দিতেই রাহুলের এই টুইট বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে সোনিয়াও বলেন, ‘যে ভাবে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করা হয়েছে তার বিরোধিতা করবে কংগ্রেস।’
আরও পড়ুন: রিজার্ভ ব্যাঙ্কের টাকা চুরি করে লাভ হবে না, বললেন রাহুল, উদ্ভট কথা, পাল্টা নির্মলার