—ফাইল চিত্র।
জম্মু-কাশ্মীর রাজ্য দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ হয়ে যাবে ৩১ অক্টোবর। তার আগে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের সিদ্ধান্ত বৈধ কি না, সেই প্রশ্নে আদালতে কোনও সিদ্ধান্ত হওয়ার সুযোগ নেই। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপে সরকারের ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে ১০টি আবেদন এ পর্যন্ত জমা পড়েছে। সেগুলি নিয়ে শুনানি হবে ১৪ নভেম্বর। বিচারপতি এন ভি রামান্নার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ আবেদনগুলি সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সরকার ও জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে তাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে বলছে। এবং একই সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছে, বিলম্ব এড়াতে এই একই বিষয়ে আর কোনও আবেদন গ্রহণ করা হবে না।
কেন্দ্রের তরফে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল ও জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এ দিনের শুনানিতে বলেন, মোট ১০টি আবেদন সম্পর্কে জবাব তৈরি করতে তাঁদের অন্তত ৪ সপ্তাহ সময় দরকার। কিন্তু আবেদনকারীরা দাবি করেন, সরকার পক্ষকে যেন জবাব দেওয়ার জন্য দু’সপ্তাহের বেশি সময় না-দেওয়া হয়। যাতে নয়া আইনে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ— এই দু’টি কেন্দ্র শাসিত এলাকা গঠনের আগেই ৩৭০ বাতিলের বৈধতা নিয়ে কিছু একটা সিদ্ধান্ত জানাতে পারে আদালত। এ জন্য জরুরি ভিত্তিতে শুনানিরও আবেদন রাখেন তাঁরা। কিন্তু বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, সুষ্ঠু ভাবে শুনানি সারার জন্য সরকারকে যুক্তিসঙ্গত একটা সময় দিতেই হবে। সরকার পক্ষের বক্তব্যের উপরে প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য আবেদনকারীরাও এক সপ্তাহ সময় পাবেন।
আইনজীবী এম এল শর্মা ৩৭০ বাতিলের পর দিনই শীর্ষ আদালতে এর বিরুদ্ধে পিটিশন জমা দিয়েছিলেন। প্রথম আবেদনকারী হিসেবে তাঁর আর্জিটি আগে শোনার অনুরোধ করলে বেঞ্চ বলে, ‘‘আপনার আবেদনে সারবস্তুই নেই। আগে জমা দিয়েছেন বলেই আগে শুনতে হবে?’’ ৩৭০ অনুচ্ছেদটি রাখার বিরুদ্ধেও কয়েকটি আর্জি আগে থেকে আদালতে জমা পড়ে রয়েছে, এই প্রসঙ্গ উঠলে শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ জুডিশিয়াল রেজিস্ট্রার সূর্যপ্রতাপ সিংহকে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে জানাতে বলেছে।