National News

‘এখন লোকসভা ভোট হলে রাজীব গাঁধীর রেকর্ড ভেঙে দিতেন মোদী’, কাশ্মীর নিয়ে কটাক্ষ যশবন্তের

তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধী খুন হওয়ার পর ১৯৮৪ সালে রাজীব গাঁধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস বিপুল ভাবে জয়ী হয়েছিল লোকসভা নির্বাচনে। লোকসভায় পেয়েছিল ৪০০টি আসন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৯ ১২:০৯
Share:

প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিন্‌হা। - ফাইল ছবি।

লোকসভা ভোটটা এখন হলে রাজীব গাঁধীর রেকর্ড বিজেপি ভেঙে দিত বলে কটাক্ষ করলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিন্হা। তাঁর মতে, সংবিধানের ৩৭০ ধারা কার্যত রদ করে দিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে একটা জোরালো আবেগের জন্ম দিতে পেরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যার ফলে, এখন লোকসভা নির্বাচন হলে আরও অনেক বেশি ভোট পেতেন মোদী। ইন্দিরা গাঁধীর মৃত্যুর পর ১৯৮৪ সালে আবেগের ভোটে জিতে যে রেকর্ড গড়েছিলেন রাজীব গাঁধী, সেই রেকর্ডও মোদী ভেঙে দিতে পারতেন।

Advertisement

৩৭০ ধারা রদ ও জম্মু-কাশ্মীরকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভেঙে দেওয়ার কেন্দ্রীয় প্রস্তাবকে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী মোদীর কট্টর সমালোচক, ৮১ বছর বয়সী প্রাক্তন বিজেপি নেতা যশবন্ত বলেছেন, ‘‘এটা একেবারেই রাজনৈতিক পদক্ষেপ। ৩৭০ ধারা আর ৩৫ (ক) অনুচ্ছেদ নিয়ে সরকার যা করেছে তা পুরোদস্তুর রাজনীতি ছাড়া আর কিছুই নয়। দেশের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে বিধানসভা ভোট হতে চলেছে কিছু দিনের মধ্যেই। সেই রাজ্যগুলিতে ভোটে বিপুল ভাবে জেতার জন্যই কাশ্মীর নিয়ে এই সব করা হয়েছে। এখন লোকসভা ভোট হলে রাজীব গাঁধীর রেকর্ডও ভেঙে দিতে পারতেন মোদী।’’

তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধী খুন হওয়ার পর ১৯৮৪ সালে রাজীব গাঁধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস বিপুল ভাবে জয়ী হয়েছিল লোকসভা নির্বাচনে। লোকসভায় পেয়েছিল ৪০০টি আসন।

Advertisement

আরও পড়ুন- রাজ্য নয় কাশ্মীর, আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখ, পুরোপুরি বলবৎ সংবিধান​

আরও পড়ুন- ‘বেআইনি’ বলে নিন্দায় পাকিস্তান, ৩৭০ নিয়ে বাকি সব দেশের মুখে কুলুপ​

যশবন্তের কথায়, ‘‘নোটবন্দির ঘোষণার মতোই জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রীয় পদক্ষেপ পুরোদস্তুর রাজনৈতিক। নোটবন্দির সিদ্ধান্ত কোনও অর্থনৈতিক পদক্ষেপ ছিল না। ছিল রাজনৈতিক পদক্ষেপ। বহু বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ২০১৬ সালের ওই সরকারি পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছিলেন। কিন্তু কালো টাকার বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে ভেবে আমজনতা তাকে সমর্থন করেছিল। মানুষ ভেবেছিলেন, এতে দেশের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যের হাল ফিরবে। এটাও (কাশ্মীর) রাজনৈতিক পদক্ষেপ। এতে জম্মু-কাশ্মীরের কোনও উপকার হবে না। তা করার ইচ্ছা থাকলে সেই রাজ্যের মানুষের মতামত নিয়েই তা করা হত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement