Cyclone Dana

ঘূর্ণির ঝঞ্ঝা কতটা সামলাবে ম্যানগ্রোভ? কুমিরে-মানুষে মুখোমুখি হওয়ারও উদ্বেগ, ভিতরকণিকায় জোড়া পরীক্ষা

ভিতরকণিকা জাতীয় উদ্যানে প্রায় ২০০ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে রয়েছে ম্যানগ্রোভ। ‘দানা’ এই অঞ্চল দিয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়লে ঝড়ের ধাক্কা কিছুটা সামাল দেওয়া যেতে পারে বলে অনুমান।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:৪৬
Share:

উপকূলীয় অঞ্চলগুলিতে বদলাচ্ছে আকাশের ভাবগতিক। —ফাইল চিত্র।

উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারার মধ্যবর্তী অঞ্চল স্থলভাগে প্রবেশ করবে ঘূর্ণিঝড়। ওই সময়ে ঝড়ের গতি থাকতে পারে ১০০-১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সম্ভব্য অঞ্চলের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ঝড়ের ধাক্কা অনেকটা সামাল দেওয়া যেতে পারে। কারণ ভিতরকণিকা জাতীয় উদ্যানে প্রায় ২০০ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে ম্যানগ্রোভ অরণ্য। সে ক্ষেত্রে যদি ‘দানা’ ভিতরকণিকার দিক দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করে, তার তাণ্ডব কিছুটা সামলাতে পারবে ম্যানগ্রোভ।

Advertisement

ওড়িশার মুখ্য বনপাল সুশান্ত নন্দ জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ভিতরকণিকার উপকূলে আছড়ে পড়লে তা কিছুটা স্বস্তির। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব থেকে আশপাশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলিকে অনেকটা রক্ষা করবে ম্যানগ্রোভ জঙ্গল। ঝড়ের গতিও ম্যানগ্রোভের কারণে কিছুটা কমতে পারে বলে আশাবাদী তিনি।

গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কা ম্যানগ্রোভ কতটা সামলাতে পারবে, সে দিকেই আপাতত তাকিয়ে ওড়িশার বন দফতর। একই সঙ্গে বন্যপ্রাণীদের রক্ষা করার কঠিন পরীক্ষার মুখেও পড়েছে তারা। বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত পর্যটকদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ভিতরকণিকা জাতীয় উদ্যান। ম্যানগ্রোভ বন্যপ্রাণ বিভাগের বন আধিকারিক সুদর্শন গোপীনাথ যাদব জানিয়েছেন, ঝড়ের সময় বন্যপ্রাণীদের রক্ষা করতে একাধিক ছোট ছোট দল গঠন করা হয়েছে।

Advertisement

গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

ভিতরকণিকা জাতীয় উদ্যানে প্রচুর কুমির রয়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারির দিকের হিসাব অনুযায়ী, ১৮১১টি কুমির রয়েছে এই জাতীয় উদ্যানে। অতীতে একাধিক বার আশপাশের এলাকায় কুমির প্রবেশ করেছিল। গত বছরেও জুন থেকে অগস্ট মাসের মধ্যে ছয় জনকে টেনে নিয়ে গিয়েছিল কুমির।

ঝড়ের সময় জাতীয় উদ্যান থেকে কুমির জনবসতিপূর্ণ এলাকার কাছাকাছি চলে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন বন আধিকারিক। কোনও লোকালয়ে কুমির প্রবেশ করলে, সেগুলি উদ্ধারের জন্য দু’টি দল গঠন করা হয়েছে। একটি মোতায়েন করা হয়েছে ভিতরকণিকায়, অন্যটি রাজনগরে। আধিকারিক সূত্রে খবর, ভিতরকণিকায় সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক এবং তার থেকে কিছুটা ছোট কুমিরও মানুষ মারার ক্ষমতা রাখে। সে ক্ষেত্রে জানুয়ারি মাসের সুমারি অনুযায়ী, জাতীয় উদ্যানের ৫১৫টি কুমির মানুষের উপর হামলা করার ক্ষমতা রাখে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement