ভারাভারা রাও। ফাইল চিত্র।
ভীমা কোরোগাঁও মামলায় অভিযুক্ত তেলুগু লেখক-কবি ভারাভারা রাওকে চিকিৎসার জন্য নানাবতী হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হোক। মহারাষ্ট্র সরকারকে বুধবার এই নির্দেশ দিল বম্বে হাইকোর্ট। পাশাপাশি আদালত জানিয়েছে, তাদের না জানিয়ে যেন রাওকে হাসপাতাল থেকে না ছাড়া হয়। ১৫ দিনের জন্য চিকিৎসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে রাওকে।
আদালত আরও জানিয়েছে, রাওয়ের যাবতীয় চিকিৎসার খরচ বহন করতে হবে রাজ্য সরকারকে। শুধু তাই নয়, হাসপাতালের নিয়ম মেনে পরিবারের সঙ্গেও রাওকে দেখা করতে দিতে হবে।
মহারাষ্ট্রের তালোজা জেলে বন্দি ছিলেন রাও। তাঁর শারীরিক অবস্থা ভাল নয়। জেলে ঠিক মতো চিকিত্সা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে না। অতএব রাওকে মুক্তি দেওয়া হোক— এই মর্মে দাবি জানিয়ে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাওয়ের স্ত্রী পি হেমলতা। এ দিন বিচারপতি এএস শিন্ডে এবং মাধব জামদারের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। তখন আদালত রাজ্য সরকারকে এই নির্দেশ দেয়।
আরও পড়ুন: অন্য দলে যান বা নতুন দল গড়ুন, সিব্বলকে হুঁশিয়ারি অধীরের
রাওয়ের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ আদালতে বলেন, “রাও ডিমেনশিয়া-র কারণে শয্যাশায়ী। তাঁর মূত্রাশয়ঘটিত মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। এখনই যদি তাঁকে সরানো না হয়, তা হলে জেলেই মারা যেতে পারেন। আর সেটা হেফাজতে মৃত্যুর সামিল হবে।”
সরকারি আইনজীবী দীপক ঠাকরে তখন বলেন, “রাওকে জেজে হাসপাতালে স্থানান্তরিক করা হোক। ওটা সরকারি হাসপাতাল। সমস্ত পরীক্ষাও হবে সেখানে।” কিন্তু তাঁর এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা জানান ইন্দিরা জয়সিংহ।
ভীমা কোরেগাঁও মামলায় ২০১৮-র অগস্ট থেকে জেলে বন্দি রাও। তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনে একাধিক মামলা রুজু করেছে পুলিশ।