গৌতম নওলাখা।
ভীমা কোরেগাঁও মামলায় অভিযুক্ত সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী গৌতম নওলাখা জামিন পেলেন না। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন নীতির সমালোচক নওলাখা গত ২৫ এপ্রিল থেকে মুম্বইয়ের তালোজা জেলে বন্দি। ২০১৮ সালের ভীমা কোরেগাঁওয়ের ঘটনায় মাওবাদীদের গোপন তথ্য দিয়ে তিনি সাহায্য করেন বলে অভিযোগ ছিল। গত জুলাইয়ে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র বিশেষ আদালত। বম্বে হাইকোর্টে সেই আবেদনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই পাল্টা মামলা করেছিলেন নওলাখা। সোমবার তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দিল আদালত।
মাওবাদী যোগে অভিযুক্ত এই সাংবাদিকের আইনজীবী হিসাবে আদালতে হাজির ছিলেন কপিল সিব্বল। আদালতকে সিব্বল বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ গত বছর এপ্রিলে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে আত্মসমর্পণ করেন নওলাখা। তারও আগে ৩৪ দিন গৃহবন্দি ছিলেন তিনি। আইন মোতাবেক গ্রেফতার হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে যদি চার্জশিট পেশ না করা হয় তবে স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতেই জামিন পাওয়ার যোগ্য বলে গণ্য হবেন অভিযুক্ত। এনআইএ ৯০ দিনের মধ্যে চার্জশিট পেশ করেনি। সে ক্ষেত্রে জামিনের দাবিদার হওয়া সত্ত্বেও নওলাখাকে কেন জামিন দেওয়া হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। কিন্তু সিব্বলের এই যুক্তি খারিজ করে সরকারি আইনজীবী এসভি রাজু বলেন, ‘‘গৃহবন্দিদশাকে গ্রেফতারির সঙ্গে মেলালে চলবে না। কারণ তখন নওলাখা স্বাধীন ভাবেই ঘোরাফেরা করতে পেরেছেন। হেফাজতে ছিলেন না। আবার জামিনেও ছিলেন না।’’
গত ১৬ ডিসেম্বর এই মামলায় রায়দান মুলতুবি করেছিল বম্বে হাইকোর্টের দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সোমবার বিচারপতি এসএস শিণ্ডে এবং বিচারপতি এমএস কার্নিকের বেঞ্চ নওলাখার আবেদন খারিজ করে দিল। এনআইএ-র চার্জশিট অনুযায়ী, ভীমা কোরেগাঁও হামলার ঘটনায় মাওবাদীদের গোপন তথ্য সরবরাহ করে সাহায্য করেছিলেন নওলাখা।