অভিযুক্ত ইঞ্জিনিয়ারকে গ্রেফতার করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত।
সমাজমাধ্যমে কখনও নিজেকে ‘মণিকা’ হিসাবে পরিচয় দিতেন, কখনও আবার ‘ম্যানেজার’। এ ভাবেই মহিলাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতেন দিলীপ প্রসাদ। পেশায় তিনি এক জন ইঞ্জিনিয়ার। সমাজমাধ্যমে বন্ধুত্ব পাতানোর পর মহিলাদের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিতেন। তার পর তাঁদের দেখা করতে বলতেন। হোটেলে নিয়ে গিয়ে মহিলাদের যৌন হেনস্থা করতেন বলে অভিযোগ।
শুধু যৌন হেনস্থাই নয়, সেই ঘটনার ভিডিয়ো এবং ছবি তুলে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে বাধ্য করতেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ১৩ জন মহিলা তাঁর লালসার শিকার হয়েছেন। অভিযুক্ত সেই ইঞ্জিনিয়ারকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলাদের ভাল বেতনের চাকরির প্রস্তাব দিতেন দিলীপ। চাকরির খুব প্রয়োজন, বেছে বেছে এমন মহিলাদের তাঁর শিকার বানাতেন ইঞ্জিনিয়ার। ভাল বেতনের চাকরি করেন দিলীপ। পুলিশ জানিয়েছে, টাকার জন্য জন্য নয়, শুধু লালসা মেটানোর জন্যই মহিলাদের চাকরির টোপ দিতেন তিনি।
অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা দিলীপ। প্রতারণা এবং যৌন হেনস্থার প্রথম ঘটনা প্রকাশ্যে আসে ২৬ জানুয়ারি। তাঁর লালসার শিকার এক মহিলা বেঙ্গালুরু পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে একে একে আরও ১২ জন মহিলার নাম উঠে আসে পুলিশের হাতে। পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় দিলীপ নিজে স্বীকারও করেছেন যে, ১৩ জন মহিলাকে চাকরির প্রস্তাব দিয়েছিলেন। দেশে যখন লকডাউন শুরু হয়, সেই সময় থেকে এই প্রতারণার কাজ শুরু করেছিলেন দিলীপ। পুলিশের ধারণা, কলেজ জীবনেও এই ধরনের কাজ করেছেন তিনি। দিলীপের সম্পর্কে সমস্ত তথ্য জোগাড় করার চেষ্টা করছে পুলিশ।