—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বন্ধুবান্ধবদের থেকে ধার করে জুয়া খেলে রাতারাতি ভাগ্যবদল হয়েছিল বেঙ্গালুরুর এক চা বিক্রেতার। তবে ১০ লক্ষ টাকার ‘জ্যাকপট’ জেতার পর তাঁর খোয়া গেল ১৫ লক্ষ। এমনই অভিযোগে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। অভিযোগ, তাঁকে অপহরণ করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ওই অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন বন্ধুরা। এই অভিযোগের তদন্তে নেমে চা বিক্রেতার চার ‘বন্ধু’-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে বেঙ্গালুরুর হনুমন্তনগর থানার পুলিশ। অভিযুক্তেরা পলাতক বলে জানিয়েছে তারা।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর ত্যাগরাজানগরের রাস্তায় সকাল-সন্ধ্যায় চা বিক্রি করেন রোজগার করেন তিলক এম মণিকান্ত। স্ত্রী এবং দুই নাবালক সন্তানদের নিয়ে তাঁর সংসারে উপরি রোজগারের জন্য রান্না করা খাবারও ডেলিভারি করেন তিনি।
তিলকের দাবি, গোয়ার ক্যাসিনোয় জুয়া খেলে ভাগ্যবদল করতে চেয়েছিলেন। সে জন্য বন্ধুবান্ধবদের থেকে ১১ লক্ষ টাকা ধার করেছিলেন। সেই সঙ্গে তাঁর সঞ্চয়ের ৪ লক্ষ নিয়ে ২৯ জুলাই কয়েক জন্য বন্ধুদের নিয়ে গোয়ার পানাজিতে গিয়েছিলেন। সেখানকার ক্যাসিনোয় ১৫ লক্ষ টাকা ঢেলে ১০ লক্ষ টাকার জ্যাকপট জিতে নেন। সঙ্গে সঙ্গে ওই টাকা নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন। ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র কাছে তিলক বলেন, ‘‘জ্যাকপট জেতার পর আমি কোনও ঝুঁকি নিতে চাইনি। যে বন্ধুরা আমার সঙ্গে গিয়েছিলেন, তাঁদেরকেও কিছু না জানিয়ে ঘরে ফিরে আসি।’’
তিলকের অভিযোগ, ৫ অগস্ট চায়ের দোকানে বসে চা খাওয়ার সময় তাঁকে অপহরণ করেন কয়েক জন বন্ধু। এর পর তাঁকে জ্ঞানভারতী এলাকার একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যান। তাঁর কথায়, ‘‘অপহরণের পর আমার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় ওরা। মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইনে আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট দেখে জানতে পারে, তাতে ২৫ লক্ষ টাকা জমানো রয়েছে। এর পর নগেন্দ্র নামে এক জনকে ফোন করে ডেকে নেয় অপহরণকারীরা। নগেন্দ্র হাজির হলে আমাকে একটি নারকেল গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে। এর পর আমাকে নেলামঙ্গলা এলাকায় একটি ঘরে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে গিয়ে জানিয়েছিল, আমার অ্যাকাউন্টে যে টাকা রয়েছে, তা আসলে ওদের। এর পর অনলাইনে ১৫ লক্ষ টাকা ট্রান্সফার করে নেয়। পরের দিন সকালে গাড়িতে তকে আমাকে বেঙ্গালুরুতে ছেড়ে দিয়েছিল ওরা। এ নিয়ে মুখ খুললে তার ফল ভাল হবে না বলেও হুমকি দিয়েছিল।’’
তিলকের অভিযোগের ভিত্তিতে কার্তিক, পান্ডু, ঈশ্বর, নিশ্চল-সহ বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছেন হনুমন্তনগর থানার পুলিশ। যদিও সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তিলকের অ্যাকাউন্ট থেকে ২৫ লক্ষ টাকার পুরোটাই কেন হাতালেন না অপহরণকারীরা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।